২৫ বছর পর গ্রামে শিশুর জন্ম

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের সোগিও জেলার কাইয়াকামি গ্রাম। ২৫ বছর ধরে কোন শিশু জন্মগ্রহণ করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, গ্রামটির সাত বছর বয়সী শিশু কেনতারো ইয়োকোবোরি ২৫ বছর পর জন্ম নেয়া প্রথম শিশু।
কেনতারোর জন্মের পর পুরো গ্রাম কীভাবে তাদের অভিবাদন জানিয়েছিল সেটি এখনও স্মরণ করেন তার মা হিরোহিতো।
হিরোহিতো জানান, গ্রামের এক বৃদ্ধা লাঠিতে ভর দিয়ে হেঁটে কেনতারোকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি ছাড়াও আরও অনেক মানুষ আমার সন্তানকে দেখতে এসেছিলেন।
সিএনএন জানাচ্ছে, কাইয়াকামি গ্রামে ২৫ বছর ধরে কোনো শিশু জন্মগ্রহণ না করায় এখন মাত্র এক হাজারের কিছু বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। অথচ ৪০ বছর আগেই এই গ্রামে ছয় হাজার মানুষ বসবাস করতেন। এখন এই গ্রামের বহু বাড়িতে মানুষ থাকে না। পুরো জাপানের অনেক গ্রাম ও শহরের অবস্থা একই।
জাপানে শিশু লালন পালন ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক তরুণ-তরুণী সন্তান নিতে চান না। এ বছরের জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী জাপানে মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রজননের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ জনসংখ্যার খারাপ অবস্থার আলোকে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘দেশের সামাজিক অবকাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তা আর চালিয়ে যাওয়া হয়তো সম্ভব হবে না।’
এক দশকের বেশি সময় ধরে জাপানে জন্মের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি চলে আসছে। গত বছর সেখানে আট লাখের কম শিশুর জন্ম হয়েছে। ১৯৮২ সালে জন্ম নিয়েছিল ১৫ লাখ শিশু। দেশটির জন্ম হার ১.৩ শতাংশে নেমে গেছে। অথচ জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জন্ম হার ২.১ শতাংশ থাকা জরুরি।
এই অবস্থা চলতে থাকলে তাদের প্রধানমন্ত্রী যে আশঙ্কা করেছেন তা সত্যি হতে বেশি সময় নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.