২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ প্রোগ্রামার তৈরি করতে চাই : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

 

বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস্ ও টেন মিনিট স্কুলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা ১০ লাখ প্রোগ্রামার তৈরি করতে চাই। যাতে করে তথ্য প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশ এক অনন্য জায়গায় পৌঁছাতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারী) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর উদ্যোগে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনলাইনে সমাধানের একাডেমিক প্রোডাক্ট ‘অনলাইন ব্যাচ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজকে আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম আছি, যারা নেতৃত্ব দিচ্ছি, তারা ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। সারা দেশে ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট সাড়ে ৩ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যে উন্মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন সেই সোনার বাংলা গড়তে গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হবে। আমরা শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে চাই। গ্রামে ও শহরে টেন মিনিট স্কুলকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে।
শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের পাঠ্যক্রম বুঝে নিতে পারবে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে।
নতুন বছরে দেশের শীর্ষ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে তাদের নতুন একাডেমিক প্রোডাক্ট ‘অনলাইন ব্যাচ ২০২৩’। এটি ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির বোর্ড পাঠ্যক্রমের পড়াশোনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সম্পূর্ণ ও কার্যকরী পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। টেন মিনিট স্কুল অ্যাপেই হওয়া লাইভ ক্লাসগুলো এমনভাবে প্ল্যান করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগের কোনোরকম বিচ্যুতি না ঘটে।
শিক্ষার্থীরা যেন অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে ঘরে বসেই স্কুল-পরবর্তী পড়াশোনা করতে পারে- এমন চিন্তা থেকেই টেন মিনিট স্কুল অনলাইন ব্যাচের প্ল্যান করেছে। যেখানে বছরজুড়ে ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষক হিসেবে থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবিসহ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে অফলাইন ও অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন।
অনলাইন ব্যাচে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে মোট ৬টি করে বিষয়। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণিতে সপ্তাহে ৬ দিন করে মাসে ২২টি ক্লাস দিয়ে সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ সিলেবাসের রুটিন। ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির জন্য সপ্তাহে ৫ দিন করে মাসে মোট ৪০টি ক্লাস থাকবে। রুটিনমাফিক প্ল্যানে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করা হবে ৮ মাসে। সিলেবাস শেষ হবার পরে শিক্ষার্থীরা যেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে পারেন, সেজন্য রয়েছে রিভিশন ও প্রশ্ন-সমাধান ক্লাস। এছাড়াও মডেল টেস্ট দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের সুবিধামতো সময়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করে নিতে পারবে।
অনলাইন ব্যাচের প্রতিটি লাইভ ক্লাসে থাকবেন দুই জন শিক্ষক; একজন সরাসরি ক্লাস নিবেন, দ্বিতীয়জন শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন। ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার ৩০ মিনিট পরেও অ্যাপে মেসেজ করার মাধ্যমে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
প্রতিটি লাইভ ক্লাস শেষেই শিক্ষার্থীরা সেই ক্লাসের লেকচার শিট এবং লাইভ ক্লাসের রেকর্ডেড ভিডিও পেয়ে যাবে। ক্লাস শেষে থাকবে হোমওয়ার্ক, এবং সাপ্তাহিক পরীক্ষা। এ হোমওয়ার্ক ও পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে দেয়া হবে প্রোগ্রেস রিপোর্ট, যা দেখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পড়াশোনার অগ্রগতি যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও প্রতি মাসে অভিভাবকদের সঙ্গে থাকবে মতবিনিময় সভা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিকে টেক ভেঞ্চারস্ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেন মিনিট স্কুলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ফাউন্ডার আয়মান সাদিক, চিফ অপারেটিং অফিসার ও কো-ফাউন্ডার মির্জা সালমান হোসেন বেগ, চিফ টেকনোলজি অফিসার ও কো-ফাউন্ডার আবদুল্লাহ আবইয়াদসহ প্রতিষ্ঠানটির মেধাবী কলাকুশলীরা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.