২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ২১শে শহিদ দিবসের সভা থেকে আজ

(২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ২১শে শহিদ দিবসের সভা থেকে আজ–ছবি: প্রতিনিধির)
বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি: একুশের মঞ্চে (21 July) ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান (Abar Khela Hobe)৷ বলার অপেক্ষা রাখে না, এবার মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য ২০২৪-এ দিল্লি দখলের লড়াইতে বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করা ৷
একুশে জুলাই উপলক্ষে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘ছেড়ে দিলে চলবে না৷ খেলা একটা হয়েছে৷ ৫ মে তার রেজাল্ট আপনারা পেয়েছেন৷ কিন্তু খেলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি৷ আবার খেলা হবে৷ যতদিন না পর্যন্ত বিজেপি দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে ততদিন প্রতিটা রাজ্যে রাজ্যে খেলা চলবে৷ প্রতিটি বুথে খেলা হবে৷’
বিরোধী নেতাদের একজোট হওয়ার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কোনও লক্ষ্যপূরণ নয়৷ এখন সবার একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা৷
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ঝড় তুলেছিল খেলা হবে স্লোগান৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালন করা হবে৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার থেকে ১৬ অগাস্ট রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালিত হবে৷
এ দিন শহিদ দিবস উপলক্ষে নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষ দিকে মমতা বলেন, অনেক গদ্দার আছে৷ তারা মুখে বড় বড় কথা বলছে আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছে৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও বাংলায় অনেক কাজ বাকি৷ এই নির্বাচনে অনেক শিক্ষা পেয়েছি৷ মনে রাখবেন, অনেক গদ্দার আছে যারা মুখে বড় বড় কথা বলে আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছে৷ এই গদ্দারদের মানুষ একদিন রাজনৈতিক ভাবে বিদায় দেবে৷ এটা আমার বিশ্বাস৷’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওরা মানুষের মুখ বন্ধ করে রাজনীতি করতে চায়৷ এটা আমার পছন্দ নয়৷ বিজেপি পার্টিতে গদ্দারদেরই জন্ম হয়৷ ওরা সভ্যতা জানে না৷ সংস্কৃতি জানে না৷’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে বিজেপি-র বিক্ষোভ সমাবেশে জেলার পুলিশ সুপারকে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ভাইপোর অফিস থেকে আপনাকে কারা ফোন করে, সেই সব নম্বর, কল রেকর্ড আমার কাছে আছে৷’
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ২১-এর মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখছেন  দিল্লিতে কনস্টিটিউশান ক্লাবে বসে সেই বৈঠক দেখছিলেন পি চিদাম্বারাম, দ্বিগবিজয় সিং, সুপ্রিয়া সুলেরা। প্রত্যেক বিরোধী নেতামন্ত্রীর নাম নিয়ে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজনীতিপ্রেমী মাত্রই বুঝবেন আসলে শক্তি বুঝিয়ে ‘পুজোপাঠ’ শুরু করছেন মমতা।
এর পর আর রাখঢাক নেই। পেগাসাস আর পেট্রোলের দাম, সরকারের জোড়া ব্যর্থতাকে সামনে রেখেই দিল্লি ঘেরার ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কাউন্টডাউন আজ থেকেই শুরু তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা। স্পষ্ট বললেন, আড়াই বছর বাকি আছে। এখন প্রতিটি দিন গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জোট বেঁধে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিই।
এত স্পষ্ট ভাবে দিল্লিবিজয়ের ডাক মমতা এর আগে কখনও দেননি। স্মরণকালে অন্য কোনও দলনেতাও নেতাও দেননি। অর্থাৎ এই লড়াইয়ে দিকনির্দেশক তিনিই তা বুঝিয়ে দেওয়া গেল একুশের মঞ্চ থেকেই। আর লক্ষ্য দিল্লির মসনদ, তাও রাখঢাক না রেখে তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী।
যদিও মমতার কথায় আমি কর্মী হিসেবেই থাকব। অর্থাৎ নেতৃত্বদান করলেও নিজের ভূমিকাকে নীচুস্বরে বাঁধতে চাইছেন বাকপটু ধুরন্ধর তৃণমল নেত্রী। মমতার বৈঠক এদিনও শেষ হল সেই ভোটপর্বের খেলা হবে স্লোগানেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন আজ, দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি জোট (Anti BJP Front) বাঁধুক। নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ সবটা জুড়েই রইল ফ্রন্ট গড়ার ডাক। আর দিন কয়েক পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাবেন। ঠিক তখনই সকলকে মিলিত হওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই (21 July Shahid Diwas) ।
এ দিন বার বারই ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, বিজেপি-র সিন্ডিকেটের কারণে দেশের স্বাধীনতা বিপদের মুখে৷ বিরোধী নেতাদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আর মাত্র আড়াই বছর মতো সময় আছে৷ তাই আর একদিনও সময় নষ্ট করলে চলবে না বলেই মত মমতার৷ তাঁর কথায়, গুলি আর গালির রাজনীতি চলছে৷ এ ভাবে দেশ চলতে পারে না৷
https://twitter.com/MamataOfficial/status/1417690663181643780?s=19
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.