২০২১ সালের মধ্যেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রেন চলাচল শুরু: রেলমন্ত্রী

 

 নীলফামারী প্রতিনিধি:  রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি হয়ে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে চিলাহাটি হলদীবাড়ি রেল পথ দিয়ে দার্জিলিং-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সরাসরি দ্রুতগতি ট্রেনের প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন প্রত্যেক জেলার সঙ্গে রেলের সংযোগ হবে, উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রেল ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা, মায়ানমার হয়ে চীনের সাথে রেল যোগাযোগের উদ্যেগ নেয়া হচ্ছে।

এ সবের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি চট্রগ্রাম ও সিলেট ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

এসব কাজ জনগণের চাওয়ার আগেই সরকার উদ্যোগী হয়েছে। রেলের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে রেল মন্ত্রণালয়কে আলাদা করেছেন।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে রেলযোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে। সরকার রেলওয়ে যোগাযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে।

গত ৫ দিন উত্তরবঙ্গ সফর শেষে ঢাকা ফিরতে পথে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী রেলষ্টেশন পরিদর্শন শেষে ষ্টেশন চত্বরের এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন রেলে দুর্নীতি হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটলে রেল বিভাগ কোনভাবে তা ছাড় দেবে না। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি।

এখন থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ছাড়া যাত্রীদের কাউকে টিকিট দেওয়া যাবেনা। তিনি আরো বলেন এক স্থানের টিকিট অন্য স্থানের মানুষের কাছে বিক্রি করা যাবেনা। রেল বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণকে হয়রানী করে যদি কোন দুনীতি হয় তাহলে এধরনের কোন ঘটনা অন্তত রেল বিভাগ বরদাস্ত করবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, পশ্চিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.