২০১৮ সালে বাংলাদেশ হারিয়েছে শিল্প সংস্কৃতির মেধাবী বেশকিছু মুখ

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে বাংলাদেশ হারিয়েছে জাতির মেধাবী বেশকিছু মুখ। জীবন কর্মে যারা রেখেছিলেন প্রতিভার স্বাক্ষর। জীবদ্দশায় শিল্প সংস্কৃতিসহ নানা অঙ্গনে যারা তাদের কৃতিত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে। সৃষ্টিশীল এই মানুষরা চলে গেলেও, তাদের সৃষ্টিকর্ম প্রেরণা যোগাবে বাঙালিকে যুগ যুগান্তরে।

হাসি, গান আর কথার মুখরতা ভেঙে নীরবতাকে সঙ্গী করে চলে গেছেন বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালে আঠারো অক্টোবর নিজের বাসায় মৃত্যু বরন করেন তিনি। সুরে সুরে কত কথাই তো তিনি বলেছেন। মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা বেদনায় লীন হয়ে যাওয়া কিংবা ভালোবাসার নানা রং; মানুষের জীবন ছুঁয়ে থাকে যা তা দিয়েই তিনি বাঙালির অন্তরের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন।

নির্মাতা আমজাদ হোসেন, চলে গেলেন বছরের শেষ দিকে এসে। চৌদ্দ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। গোলাপি এখন ট্রেনে, ভাত দে, নয়ন মনি, দুই পয়সার আলতাছাড়া আরো অসংখ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা তিনি। এছাড়া বেশ কিছু উপন্যাস লিখেছেন, জীবন থেকে নেয়ার মত ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতাও ছিলেন।

কিংবদন্তী চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন। ডিসেম্বর এক তারিখ রাজধানীর একটি হোটেল কক্ষে মৃত্যুবরণ করেন। কাজ করেছেন দেশের প্রথিতজশা চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে। সূর্য দীঘল বাড়ি, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, পুরস্কার, অন্য জীবন, লালসালুর মতো চলচ্চিত্রের জন্য ৫ বার জাতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার পেয়েছেন।

গত আঠারো ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন নির্মাতা ও চিত্র সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল। ১৯৭৯ সালে ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রে কাজ করে তিনি পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদকের জাতীয় পুরস্কার। দিপু নম্বর টু এর মত চলচ্চিত্রের চিত্র সম্পাদক ছিলেন তিনি। গুণী এই নির্মাতা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘কালবেলা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে গেলেন।

বছরের শুরুতে, ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন কথাশিল্পী শওকত আলী। চলে যাবার আগে তিনি লিখেছেন প্রদোষে প্রাকৃতজনের মত প্রখ্যাত উপন্যাস। এছাড়া তিনি নতুন ধারায় লেখক হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.