১ জুন খুলছে ধর্মীয় স্থান গুলি এবং ৮ জুন থেকে সরকারী, বেসরকারী অফিস

কলকাতা প্রতিনিধি: করোনার দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে এরই মধ্যে ধীরে ধীরে লকডাউনেও আসছে শিথিলতা ৷ অর্থনীতি ভয়ঙ্কর ভাবে বিপর্যস্ত তাই করোনার প্রকোপ সঙ্গে নিয়েই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা রাজ্যের ৷
আজ শুক্রবার (২৯ মে) নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আগামী ৮ জুন থেকে সমস্ত সরকারী, বেসরকারী অফিস খুলে যাবে ৷ কাজ করা যাবে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই ৷
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অফিস খুললেও মানতে হবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি ৷ বজায় রাখতে হবে দুই ব্যক্তির মধ্যে ৬ থেকে আট ফুটের সামাজিক দূরত্ব ৷ একইসঙ্গে ব্যবস্থা রাখতে হবে স্যানিটাইজেশনেরও ৷ একইসঙ্গে এদিনের বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার চা ও জুটমিলও পুরোপুরি ৮ জুন থেকেই খোলা হবে ৷ সমস্ত কর্মীদের নিয়েই কাজ করা যাবে ৷
অফিস খোলার সাথে সাথে মানুষের যাতায়াতের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য যানবাহন ব্যবস্হা সচল করার কথা ভাবা হয়েছে ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। জানি সরকারী-বেসরকারী সব ধরনের বাস চালাতেই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বাস মালিকদের স্বার্থে বলছি, যেহেতু লকডাউনও ধাপে ধাপে উঠে যাচ্ছে, এবার বাসে যতগুলি সিট ততজন যাত্রী নেওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত কেউ বাসে চড়তে পারবে না। একইসঙ্গে তাঁর কড়া নির্দেশ,বাসে চড়তে হলে মাস্কও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক।
এদিন নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানান ১ জুন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, কোনও রকম জমায়েত ছাড়াই সর্বাধিক দশজনকে নিয়ে মন্দিরের কাজকর্ম চালানো যাবে। কারণ, ধর্মীয় স্থান খুলছে মানেই সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়ম চলে যাচ্ছে, এমনটা নয়। করোনা মোকাবিলায় বড় কোনও জমায়েত এখনও এড়িয়েই চলতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়টি সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি ট্রেনে এভাবে লোক ফেরানো হয়, তাহলে ধর্মস্থান খুলতে কী দোষ!”‌ তাঁর কথায়, “আমার মনে হয়, আমাদের দেবদেবীরও পুজো হোক। তবে প্রার্থনা বা অন্য কোনও বিষয়ে ধর্মস্থানে জমায়েতের এখনই অনুমতি দেওয়া যাবে না। একজন যাবেন, পুজো দেবেন বা প্রার্থনা করবেন, চলে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান “আমি ধর্মস্থান কর্তৃপক্ষকে বলব, আপনারা স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় ” ৷

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.