১৫ আগস্টের পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের পর থেকে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সকলের নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়।’
আজ রবিবার সকাল ১০টায় গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয় তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর, ৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। সেসময় জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ। আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এক শ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা সবসময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এর সুবিধা তারাই ভোগ করে।’
সরকারপ্রধান জানান, কোন দেশের সঙ্গে কার ঝগড়া সেটা দেখার প্রয়োজন নেই। উন্নয়ন সহযোগী যারা হবে তাদের নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.