১৩ সেকেন্ডেই গোল, দোন্মারুম্মা বললেন, ‘প্রস্তুত ছিলাম না’

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: গ্যালারির দর্শকদের অনেকেই তখনও থিতু হয়ে বসেননি। টিভি ধারাভাষ্যকার সেভাবে সুর ধরতে পারেননি। ইতালির রক্ষণভাগও ততটা তৈরি নয়। এর মধ্যেই গোল! ইতালির গোলকিপার জানলুইজি দোন্মারুম্মার দাবি, তিনি গ্লাভসও ঠিকমতো হাতে গলাতে পারেননি তখনও। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ধাক্কা সামলে দলের জয়ের পর দারুণ খুশি ইতালি অধিনায়ক।
উয়েফা নেশন্স লিগে শুক্রবার প্যারিসে ইউরোপের দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে ১৩ সেকেন্ডে গোল করে ফ্রান্স। ব্যাক পাস ধেকে বল যাচ্ছিল জোভান্নি দি লরেন্সোর দিকে। কিন্তু ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডারের সামনে থেকে ছো মেরে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান বাহলি বার্কোলা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্সের ইতিহাসের দ্রুততম গোল এটি। ইতালিরও এটি সবচেয়ে কম সময়ে গোল হজমের রেকর্ড।
ওই গোলের পর আরও বেশ কিছুক্ষণ ছন্নছাড়া মনে হয়েছিল ইতালির রক্ষণভাগকে। তবে একটা পর্যায়ে তারা সামলে নিয়ে গোছানো ফুটবল উপহার দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেয় ৩-১ গোলে।
শুরুর ওই গোলের পথে যখন ছুটে যাচ্ছিলেন, হতদন্ত হয়ে গ্লাভস ঠিক করতে করতে ঠেকাতে এগিয়ে যান দোন্নারুম্মা। কিন্তু তিনি পারেননি বার্কোলার সামনে বাধা হতে।
গোলের পর দোন্নারুম্মাকে দেখা যায় রেফারির সঙ্গে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে। নিশ্চিতভাবেই গোলটি নিয়ে কিছু বলছিলেন তিনি। তবে তার আপত্তি টেকেনি রেফারির কাছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য খুশি দোন্নারুম্মা। প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে পারায় জয় ধরা দিয়েছে বলে মনে করেন ইতালিয়ান অধিনায়ক।
“আমি তো প্রস্তুতই ছিলাম না। গ্লাভসও তখন ঠিকঠাক পরতে পারিনি। আমরা খুব একটা চটপটেও হতে পারিনি তখন। বল তো আমাদেরই ছিল, আরও একটু সময় ধরে রাখতে পারতাম।”
“তবে এরপর আমরা দারুণভাবে সাড়া দিয়েছি। এত দ্রুত গোল হজম করার পর কাজটা কখনোই সহজ নয়। তবে ছেলেরা ধীরস্থির থেকেছে এবং অনুশীলনে যা করেছি, সেটা করায় মনোযোগী হয়েছে। ম্যাচ জয়ের জন্য এসবই জরুরি ছিল।”
দলের হার না মানা মানসিকতার প্রশংসা করলেন কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি। বিশেষ করে, তরুণদের মানসিকতা মুগ্ধ করেছে কোচকে।
“শুরুর ওই দুর্ভাগ্যের পর সবাই একতাবদ্ধ হয়ে খেলা জরুরি ছিল। কখনও কখনও এই ধরনের পরিস্থিতিতে অস্থির হয়ে অনেকে আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমাদের মানসিক শক্তি এখানেই ছিল দ্বিগুণ। ভয় পেয়ে বসলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা যায় না।”
“আমরা এমন এক দল ফুটবলারকে বেছে নিয়েছি, যারা সবসময় খেলায় ছিল এবং হাল ছাড়েনি। মৌসুমের শেষ সময়টার চেয়ে ওরা এখন একটু বেশি তরতাজা। আমরা সৌভাগ্যবান যে, তরুণ কিছু ফুটবলারকে পেয়েছি, যারা নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া। ব্যক্তিগত এই তাড়না ও আবেগ যে কোনো সাফল্যের জন্য জরুরি।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.