১৩ জানুয়ারী কংগ্রেসর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জাচ্ছেন না

কলকাতা প্রতিনিধি: বামেদের বিভিন্ন শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনের সাথে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-ও গতকাল বুধবার ধর্মঘটের শরিক হয়েছিল ৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কংগ্রেসের তরফে শুধু আইএনটিইউসি নয়, ছাত্র পরিষদ এবং যুব কংগ্রেস কর্মীরাও সক্রিয় ভাবে ময়দানে নেমে পড়েন ঘর্মঘট সফল করতে। বন্ধের দিন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা গেছে, সুজাপুরে জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে উর্দিধারীরা ভাঙচুর চালাচ্ছেন ৷
অভিযোগ তোলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ৷ অভিযোগ করেন যে , বিজেপির হয়ে কাজ করছেন মমতা, তাই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ধর্মঘটকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন ৷
 
বন্ধের দিন সকাল থেকে কংগ্রেস প্রভাবিত মালদায় জেলায় গোলমালের খবর আসতে শুরু করে৷ বাসে হামলা করা হয়৷ কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকায়,পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। তুমুল পাথরবৃষ্টি হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাম-কংগ্রেস ‘বন্‌ধের নামে গুন্ডামি করেছে’৷ এই গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান ৷ আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) আরও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিধানসভায় তিনি জানালেন যে, বুধবার যা ঘটেছে, তার পরে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে তিনি আর যাবেন না।
 
দিল্লিতে ১৩ জানুয়ারী বৈঠক ডাকা হয়েছে , সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ৷ কিন্তু আজ জানান  , বামেদের সঙ্গে মিলে যে ভাবে কংগ্রেস বুধবার বাস পুড়িয়েছে, আগুন লাগিয়েছে, তার পরে আর কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে তিনি যেতে চান না। মমতা এ দিন মন্তব্য করেছেন , এনআরসি-র বিরুদ্ধে তৃণমূল একাই লড়বে ৷
তৃণমূল চেয়ারপারসন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সবচেয়ে বড় মুখ ৷ তিনি যেভাবে জায়গায় জায়গায় দিনের পর দিন মিটিং মিছিল করে, এই আন্দোলনকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন, তাতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে এই মুহূর্তে গোটা দেশে সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনিই বিরোধী দলগুলির বৈঠকে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করায়, ঐক্য ধরে রাখা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলে ৷ প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী ঐক্যের শক্তি নিয়ে ৷
এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেছেন , ‘‘এই ধর্মঘট সফল হওয়ার পরে সম্ভবত দিল্লির বসদের কাছে উনি (মমতা) বকা খেয়েছেন এবং তিনি এ প্রসঙ্গে সরাসরি জানান দিল্লির বস বলতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে ইঙ্গিত করছেন। তবুও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া ১৩ জানুয়ারীর বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে সংশয় বাড়িয়েছি ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.