১২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটলো আর্জেন্টাইন সমর্থকদের, নেপথ্যে ডি মারিয়া

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: গত ১২ বছর ‘অ্যাওয়ে’ সমর্থকদের প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা নিষিদ্ধ রেখেছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে এএফএ। এখন থেকে প্রতিপক্ষ দলের মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেন ক্লাবগুলোর সমর্থকেরা।
২০১৩ সালে এক সহিংস ঘটনায় এক দর্শকের মৃত্যুর কারণে এত দিন প্রতিপক্ষ দলের মাঠে গিয়ে সমর্থকদের খেলা দেখা নিষিদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনার ক্লাব ফুটবলে। চলতি মৌসুমে লিগের পরবর্তী রাউন্ড সামনে রেখে নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বলেন, এটা ঐতিহাসিক এক দিন; কারণ, এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের ফেরা শুরু হলো। তাপিয়া আরও জানিয়েছেন, আনহেল ডি মারিয়া আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগের ক্লাবে ফেরায় দেশজুড়ে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, সেটাও এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ভূমিকা রেখেছে।
বেনফিকা ছেড়ে কিছুদিন আগে শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফিরেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ডি মারিয়া। ক্লাবটির হয়ে নিজেদের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুতে গোলও পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ইএসপিএন জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ ক্লাবের মাঠে সমর্থকদের খেলা দেখতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা সর্বপ্রথম বুয়েনস এইরেসে আরোপ করা হয়েছিল। এরপর আর্জেন্টিনার অন্যান্য জেলায় তা কার্যকর করা হয়। গ্যালারিতে সহিংসতা কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তেমন একটা কাজে আসেনি। আর্জেন্টিনার উগ্র সমর্থকগোষ্ঠী ‘বারাব্রাভাস’ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারণে মৃত্যু আরও বেড়েছে।
আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগে আগামী শনিবার রাতে লানুসের মুখোমুখি হবে দি মারিয়ার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল। ম্যাচটি হবে লানুসের মাঠ নেস্তর দিয়াজ পেরেজ স্টেডিয়ামে। এএফএ জানিয়েছে, রোজারিও সেন্ট্রালের সাড়ে ৬ হাজার সমর্থক কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে থেকে লানুসের ‘অ্যাওয়ে’ গ্যালারিতে ম্যাচটি দেখতে পারবেন।
রোজারিও সেন্ট্রালের সভাপতি গঞ্জালো বেলোসো তার ক্লাবের সমর্থকদের প্রতিপক্ষের মাঠে ভালো আচরণের অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে বুয়েনস এইরেসের নিরাপত্তামন্ত্রী হাভিয়ের আলোনসো বলেন, ‘আগে যা করেছি, সেটা করার জন্য এটা (প্রতিপক্ষ দলের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা) ফিরিয়ে আনা হয়নি। কারণ ছিল বলেই অ্যাওয়ে দলের সমর্থকদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সহিংস কার্যকলাপ মুছে ফেলতে হবে। ১০ বছর বয়সী কারও মুখে মাদক নিয়ে গান কিংবা মেরে ফেলা—এসব দুঃখজনক ব্যাপার। পতাকা ও ড্রামস নিয়ে এটা পারিবারিকভাবে উদযাপন করা যায়।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.