বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর খানিক পরই দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নানা নাটকীয়তার শুরুও যেন সেখানে। অল্প সময়ের মধ্যে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা, হজম করে গোলও। ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্সেনাল; কিন্তু পারেনি তারা কাজে লাগাতে। এরপর, প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলে লড়াই টাইব্রেকোরে টেনে নেয় ইউনাইটেড। স্নায়ুচাপের সেই পরীক্ষায় জিতে এফএ কাপের শেষ ষোলোয় উঠল হুবেন আমুরির দল।
ব্রুনো ফের্নান্দেস ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেওয়ার পর, সমতা টানেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। এরপর ইউনাইটেডের নায়ক হয়ে আবির্ভুত হন আলতাই বায়িনদির। নির্ধারিত সময়ে মার্টিন ওডেগোরের পেনাল্টি শট ঠেকানোর পর, টাইব্রেকারেও একটি শট ঠেকান এই তুর্কি গোলরক্ষক।
১২০ মিনিটের লড়াইয়ে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৬টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখতে পারে আর্সেনাল। সেখানে মাত্র সাতটি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখা ইউনাইটেড টাইব্রেকারে হাসল জয়ের হাসি।
পেনাল্টি শুটআউটে ইউনাইটেড পাঁচ শটের সবগুলোই জালে পাঠায়। আর্সেনাল সফল হয় তিনটিতে; কাই হাভার্টজের দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন বায়িনদির।
প্রথমার্ধেই বড় একটা ধাক্কা খায় আর্সেনাল। ৩৮তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে প্রতিপক্ষের ফের্নান্দেসকে পেছন থেকে ট্যাকল করতে গিয়ে নিজেই চোট পান জেসুস। প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।
তার জায়গায় বদলি নামেন ইংলিশ মিডফিল্ডার রাহিম স্টার্লিং।
বিরতির পর লড়াই জমে ওঠে দারুণভাবে। অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে অনেক ঘটনা, দুই দলই পায় জালের দেখা।
৫২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ডেডলক ভাঙেন ফের্নান্দেস। বক্সে ডান দিক থেকে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস ধরে ডান পায়ের জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ইউনাইটেডের। গোলের আগে ও পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন দালোত। ৬১তম মিনিটে মাঝমাঠে মিকেল মেরিনোকে ফাউল করে দ্বিতীয় কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
এর মিনিট খানেকের মধ্যে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। বক্সে ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ও রক্ষণের খেলোয়াড়রা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে, পোস্টকে পেছনে রেখে দারুণ এক শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মাগালিয়াইস।
মিনিট দশেকের মধ্যেই ওই সুবর্ণ সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে কাই হাভার্টজকে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ওডেগোরের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক বায়িনদির।
বাকি সময়েও টানা আক্রমণ করে যায় আর্সেনাল। কিন্তু ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মতো কেউ কিছু করতে পারেনি। এরপর টাইব্রেকারে হাভার্টজের ওই ব্যর্থতা এবং আলোর খোঁজে থাকা ইউনাইটেডের উল্লাস।
ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে নতুন বছরের শুরুটা আশানুরূপ করলেও, এরপর টানা তিন ম্যাচে জয়শূন্য রইল আর্সেনাল।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লিগ কাপে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারে তারা। ওখানে বিদায়ের শঙ্কার পর এবার এফএ কাপ থেকে ছিটকেই পড়ল তারা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.