১১৮টি দেশীয় ট্যাংক পাচ্ছে ভারত’র সেনাবাহিনী

(১১৮টি দেশীয় ট্যাংক পাচ্ছে ভারত’র সেনাবাহিনী–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অর্জুন মার্ক -১ এ নামে দেশে তৈরী ১১৮টি যুদ্ধ ট্যাংক পাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম চালান সেনা প্রধানের হাতে তুলে দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নয়াদিল্লিতে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অর্জুন মেইন ব্যাটল ট্যাংক (এমকে-১এ) হস্তান্তর করতে পেরে আমি গর্বিত। দেশের সবচেয়ে বড় অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক রাজ্য তামিল নাড়ুকে বৃহত্তর ট্যাংক তৈরিকারক ভূখণ্ড হিসেবে দেখতে চাই আমি।

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের কমব্যাট ভেহিকেলস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে ১৫টি প্রতিষ্ঠান একযোগে এসব ট্যাংক তৈরী করেছে।

২০১২ সালে প্রথম এ ট্যাংক তৈরী করা হয়। কার্যকারিতা নিয়ে সেনাবাহিনীর অসন্তোষের কারণে প্রকল্পটি ঝুলে যায়। অসন্তোষ সত্ত্বেও কয়েকদফা নকশা এবং অন্যান্য কারিগরি দিক উন্নয়ন করা হয়। তারপরও সেনাবাহিনী সন্তোষ অর্জনে ব্যর্থ হয় এটি। ব্যাটলফিল্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ট্যাংকের প্রধান বন্দুক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৮ সালে পুনরায় এর উন্নয়ন শুরু হয়।

এদিন, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী নিহত ৪০ সেনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন মোদি। বলেন,  কোনো ভারতীয় এ দিনটি ভুলতে পারে না। সকল শহীদদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে আমরা গর্বিত। তাদের সাহস জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে যাবে।

পুলওয়ামায় হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক বিদ্রোহীদের দায়ী করে ভারত। প্রতিশোধ নিতে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহরে বিমান হামলা চালায় নিয়াদিল্লি।

জবাবে ভারতের ২টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। আটক করে ভারতীয় এক পাইলটকে। পরে শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ তাকে মুক্তি দেয় ইসলামাবাদ।

চলতি মাসের শুরুতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তেজাজ নামে হালকা যুদ্ধবিমান উৎপাদনের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন উৎসাহী হবে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি ব্যয় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার কমবে বলেও জানান তিনি।

হিমালয় সীমান্ত থেকে ভারত এবং চীন নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের দু’দিন পর ট্যাংক হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করলো নয়াদিল্লি। জুন থেকে ওই অঞ্চলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.