১১৭ বছরের এমটি হোসেন ইনস্টিটিউটটি এখন বিরানভূমি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: চিত্ত বিনোদন আর সংস্কৃতির তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ১১৭ বছরের পুরনো লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী এমটি হোসেন ইনস্টিটিউট। কিন্তু তদারকির অভাবে পরিণত হয়েছে বিরানভূমিতে।
জানা গেছে, সংগীত, অভিনয়, নাট্য ও যাত্রা শিল্পীদের নিয়মিত চর্চা করা ও প্রদর্শনীর জন্য লালমনিরহাট জেলা শহরের রামকৃষ্ণ মিশন রোডে গড়ে তোলা হয় ঐতিহ্যবাহী এমটি হোসেন ইনস্টিটিউট। ঘূর্ণায়মান মঞ্চসহ নির্মাণ করা হয় দ্বিতল ভবনের এ শৈল্পিক চর্চার ইনস্টিটিউটটি। প্রতিষ্ঠানের একটি বিশাল কক্ষ ব্যবহার হতো লাইব্রেরি হিসেবে। তবে, অযত্ন অবহেলা আর দুর্বৃত্তদের লুটপাটে সবই এখন বিলীন। কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে শুধু ভঙ্গুর অবকাঠামো।
ঐতিহাসিক স্থাপনাটি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি, শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ থিয়েটার পরিষদসহ পৌর মেয়রেরও।
লালমনিরহাট ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের সভাপতি সুফি মোহাম্মদ বিটিসি নিউজকে জানান, ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের পক্ষের জোর দাবি লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী এমটি হোসেন ইনস্টিটিউটটি আগের নকশায় যদি পুনর্নিমাণ করা হয়; তাহলে এ অঞ্চলে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটবে।
লালমনিরহাট পৌরসভা মেয়র মো. রেজাউল করিম স্বপন বিটিসি নিউজকে বলেন, এটা রেলওয়ের জায়গা,এদের কিছু নীতিমালা রয়েছে। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে এসে লালমনিরহাটবাসীর স্বার্থে ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো সবকিছুই সম্ভব।
ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বিটিসি নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে চিঠি দিয়েছি। যদি সিদ্ধান্ত আসে তাহলে সংস্কার ও একাডেমিক নতুন ভবন করা সম্ভব হবে।
১৯০৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এমটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করে। ১৯৮০ সালের পর বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.