বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর্ণাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের হিজাব-বিতর্কে তোলপাড় গোটা ভারতবর্ষ। কর্ণাটক থেকে বিক্ষোভের পারদ এখন গোটা ভারতবর্ষে। এ নিয়ে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। কলকাতায়ও এ নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে। এ নিয়ে সতর্ক দেশটির বিভিন্ন রাজ্য।
তবে এরমধ্যে খবর বেরিয়েছে, উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরার দাবিতে মাসখানেক আগে বিক্ষোভ করা ছয়জন মুসলিম ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য নেটমাধ্যমে ফাঁস করা হয়েছে। ওই ছাত্রীদের অভিভাবকেরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কর্ণাটক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উদুপির পুলিশ সুপার এন বিষ্ণুবর্ধনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরে আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক অভিবাবক বলেন, আমার মেয়ে এবং তার বান্ধবীদের নাম, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বরসহ নানা তথ্য নেটমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। আশঙ্কা করছি, ভবিষ্যতে তাদের হুমকি দিতে সেগুলি ব্যবহার করা হবে।
এ বিষয়ে বিষ্ণুবর্ধন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই ছাত্রীদের থেকে এ সংক্রান্ত অনলাইন-তথ্য চাওয়া হয়েছে। তা পাওয়া গেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হিজাব মামলা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত বলেছেন, হিজাব বিতর্ক দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেবেন না। সময় এলে এর শুনানি হবে।
আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী ওই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি দরকার বলে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে বলেন, আমরা জানি কী ঘটছে, কিন্তু এই ঘটনাকে দিল্লি টেনে আনার দরকার ছিল কি? চিন্তা করুন, যদি ভুল কিছু হয, আমরা রক্ষা করব।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ নয়, এমনই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে কলেজ খুলে দিতে বলেছিলেন কর্ণাটক হাইকোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক পড়ুয়া। হলফনামায় ওই পড়ুয়ার দাবি ছিল, হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী রায় ব্যক্তি-পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষত, মুসলিম নারী পড়ুয়াদের পছন্দের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)।
এদিকে হিজাব ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে সব থানার উদ্দেশে সতর্কতা জারি করেছেন রাজ্য গোয়েন্দারা। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার, কমিশনারেটের মাধ্যমে সেই সতর্কবার্তা প্রতিটি থানাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই এরাজ্যে বেশ কিছু জায়গাতে হিজাবের স্বপক্ষে প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.