হায়রে প্রেম, হায়রে ভালবাসা!পলাশবাড়ীতে পাড়ার চাচীর সঙ্গে পরকীয়া করতে এসে ধৃত হয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হলো ভাতিজা

 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: প্রেমের পবিত্র শিখা ধিকি ধিকি জ্বলে, স্বর্গ থেকে আসে প্রেম, স্বর্গে যায় চলে। প্রেমের কোন জাত কূল নেই।প্রেম কালা ধলা বোঝে না,স্থান কাল পাত্র মানে না, বর্ন-বৈষম্যের ধার ধারে না। প্রেম কোন শাসন বাড়ন মানে না। যার সাথে যাঁর মজে মন,কিবা হাড়ি, কিবা ডোম। প্রেম নাকি শ্বাসত। শিরির প্রেমে ফরহাদ,লাইলীর প্রেমে মজনু, চন্ডিদাস-রজকিনী, রাধার প্রেমে কৃষ্ণ,রোমিও জুলিয়েটের প্রেম কাহিনী তো কম-বেশী সবারই জানা। আর মমতাজের প্রেমে সম্রাট শাহজাহান তাজমহল তৈরী করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

আর এমনি একটি পরকীয়া প্রেমের ঘটনা ঘটেছে, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের পাটর পড়ায়।

উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউপি’র ওই গ্রামের মৃত ছমির ফকির (কথিত মাস্টার) এর ছেলে এবং পাশবর্তী বুড়িতোলা বাজারের চাল,ক্ষুদ ও গুড়া ব্যবসায়ী এবং  দাদন/সুদ ব্যবসায়ী ২ সন্তানের জনক সিদ্দিক ফকির (৩৫) এর সাথে দীর্ঘ ২ বছর থেকে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ বান্টুর নিঃসন্তান স্ত্রী সুন্দরী মনজিলা (৩৫) পাড়াতো চাচী’র সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে । মেয়েদের মন বোঝা কঠিন। গোপনে চলে তাদের লীলাখেলার প্রেমাভিসার।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে সিদ্দিক প্রায়দিনের মতে সেদিনও গোপনে মনজিলার ঘরে এসে লীলাখেলায় মত্ত হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদেরকে আটকিয়ে রাখে।

পরে অনেক দেন দরবার শেষে বৃহস্পতিবার ১৮ অক্টোবর দুপুরে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন স্হানীয়বাসী। তবে স্বামীর এ দ্বিতীয় বিয়েতে কোন অনুমতি দেননি প্রথম স্ত্রী।

১ লাখ ৫’শত টাকা দেন মোহরের মধ্যে নগদ মাত্র ৫’শত টাকা বুঝিয়ে পেয়ে এ বিয়েটি সম্পন্ন করেন স্হানীয় দুলা মৌলভী ও বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন কাজী শাহ আলমের ভাই মুক্তার মিয়া। তবে সিদ্দিকের প্রথম স্ত্রী এ বিয়েতে কোন অনুমতি পত্র দেননি। এ ঘটনায় দু সন্তানের স্ত্রী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি  চাঞ্চল্য সৃষ্টিসহ হায়রে প্রেম, হায়রে ভালবাসা কথাটি বেশ চাউর হচ্ছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.