হাসারাঙ্গা ভোগালেও জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। লঙ্কান্দের ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্গা শেষের দিকে টাইগার বোলারদের ভোগালেও শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তিন লঙ্কানের কোভিড পজিটিভ হবার ঘটনায় ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে খেলা।
বাংলাদেশের দেয়া মাঝারি মানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক বোলারদের সামনে টিকে থাকতে পারেনি সফরকারী ব্যাটাররা।
ধানুষ্কা গুনাথিলাকা ও কুশল পেরেরার ওপেনিং জুটিতে আসে ৩০ রান। ২১ রান করা গুনাথিলাকাকে ক্যাচ এন্ড বোল্ড করে করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লঙ্কানরা। মিরাজ-মোস্তাফিজের বোলিং তোপের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে লঙ্কান টপ-অর্ডার। ৮ রান করা পান্থুম নিষাঙ্কাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর আবারও মিরাজের আঘাত। ৫০ বলে ৩০ রান করা পেরেরাকে বোল্ড করেই পথ দেখান সাজঘরের। এরপর আবারও মিয়াজের আঘাত। ধানাঞ্জায়া ডি সিলভাকে ৯ রানে বোল্ড করে ফেরান।
মিরাজ-মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগ দেন দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। ২৪ (৩৬) রান করা কুশল মেন্ডিস মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
মেন্ডিসের পর মিরাজ তার শেষ উইকেটটা নেন অ্যাশেন বান্দারাকে বোল্ড করে। মাত্র ৩ রান করেই হন ক্লিন বোল্ড। এরপর সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ধাসুন শানাকা ফেরেন ১৪ রান করে।
কিন্তু ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্গা হয়ে উঠেন লঙ্কানদের ঢাল। তার ব্যাট কাঁপুন ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। একের পর এক বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারিতে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি আনেন সাইফউদ্দিন।
ব্যক্তিগত ৭৪ (৬০ বল, ৩টি চার ও ৫টি ৬) রানের মাথায় আফিফ হোসেনের হাতে দেন ক্যাচ।
হাসারাঙ্গার বিদায়ে বাকিটা সময় ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যই ছিল লঙ্কানদের শেষ দুই ব্যাটসম্যানের কাজ। শেষ পর্যন্ত ৩৮.১ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৩৩ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট, মোস্তাফিজ নেন ৩টি, ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও সাকিব নেন ১টি উইকেট।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করে বাংলাদেশ। শুরুতে লিটনের শূন্য রানে ফেরার পর ৩৮ রানের জুটি গড়ে ১৫ (৩৪) রান করে ফেরেন ধানুষ্কা গুনাথিলাকার বলে লং-অনে পান্থুম নিষাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডেতে ৫১তম অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। কিন্তু ৫২ (৭০) রান করেই ফিরতে হয় সাজঘরে। ধানাঞ্জায়া ডি সিলভার ইয়র্কার সামলাতে না পেরে পড়েন এলবিডব্লুর ফাঁদে।
একই ওভারের তামিমের পরের বলেই ফেরান মোহাম্মদ মিঠুনকে। জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটি।
দুজনের ব্যাটে যোগ হয় ১০৯ রান। তবে মুশফিকের রিভার্স সুইফ খেলাটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। ৮৭ বলে ৮৪ রান করে ক্যাচ দেন শর্ট থার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ইশুরু উদানার কাছে।
মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহও তুলে নেন ক্যারিয়ারে ২৪তম অর্ধশতক। তবে ৫৪ রানে ফিরতে হয় সিলভার বলে বোল্ড হয়ে।
শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ২৭ (২২) ও সাইফউদ্দিনের ১৩ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩ উইকেট নেন ডি সিলভা এবং একটি করে উইকেট নেন ধুষমন্থ চামিরা, ধানুষ্কা গুনাথিলাকা ও লাকসান সান্দাকান।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ২৫ মে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১টা থেকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.