হাসপাতালে স্ত্রীকে রেখে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে স্বামীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ ব্যুরো: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক ব্যক্তি ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা যান। আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেন তিনি।
আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের নাম নূরুল আমীন ওরফে শুক্কুর আলী (৫৫)। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার বাতিশুয়াইব গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, কৃষক শুক্কুর আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুনকে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার ‘মৌ-শফি’ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন অস্ত্রোপচারের জন্য। গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) রহিমা খাতুনের পেটে পাথরের অস্ত্রোপচার হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বাড়িতে যান শুক্কুর। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে থাকা স্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু বেলা ১১টা বেজে গেলেও প্রাইভেট হাসপাতালে না পৌঁছানোয় এবং মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজনের শঙ্কা শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস থেকে ফোন করে শুক্কুর আলীর মৃত্যুর খবর পৌঁছানো হয়।
ময়মনসিংহ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবু জয় গিফারী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়ে নিচের ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেন শুক্কুর আলী। এ দৃশ্য দেখে দূরে থাকা কয়েক শিশু চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্কুর আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় শুক্কুর আলীর ব্যাগের ভেতর থেকে মুঠোফোন বের করে সিমকার্ড পরিবর্তন করে পরিবারের লোকজনকেও খবর জানানো হয়।
নিহতের ভাতিজা আবু কাউসার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার চাচার পরিবারে কোনো ধরনের ঝামেলা ছিল না। আর্থিক টানাপোড়েনও ছিল না। তার চাচা ঝাঁপ দিয়েছে না কেউ ফেলে দিয়েছে বুঝতে পারছেন না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.