মুস্তাফিজদের বিদায় হলো আইপিএলে হেরে

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য শেষ ওভারে  দরকার ছিল ১৮ রান। হার্শাল প্যাটেলের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয়ের আভাস দেন বেন কাটিং। প্লে অফে খেলতে পরের ৫ বলে মুম্বাইয়ের দরকার ১২ রান। কিন্তু বিধি বাম হলে যা হয়। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন কাটিং। মুম্বাইয়ের আশাও শেষ হয়ে গেল সেখানেই। মুম্বাই ম্যাচ হারল ১১ রানে।
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঋষভ পন্তের ৬৪ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ গড়েছিল দিল্লি। সাত ম্যাচ পর এদিন মুম্বাইয়ের একাদশে ফেরা মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। ১৭৫ রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। প্রথম ওভারেই ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। দলের স্কোর তখন ১ উইকেটে ১২।
এভিন লুইস ও ইশান কিশানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য সঠিক পথেই ছিল মুম্বাই। ৬ ওভারে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৭। কিন্তু পরপর দুই ওভারে এই দুজনকে ফিরিয়ে মুম্বাইকে বড় ধাক্কা দেন অমিত মিশ্র। স্টাম্পড হওয়ার আগে লুইস করেন ৩১ বলে ৪৮ রান। দশম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে।
এক পর্যায়ে মুম্বাইয়ের স্কোর দাড়ায় ৫ উইকেটে ৭৮! সেখান থেকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া দলকে ১২১ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ১ রানের মধ্যে ফিরে যান দুজনই। এরপরই মায়াঙ্ক মারকান্দেকে নিয়ে কাটিংয়ের লড়াই শুরু। লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা ১৮তম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে আশা বাঁচিয়ে রাখেন কাটিং। ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৯তম ওভারে থেকে আসে ৫ রান। শেষ ওভারে ১৮ রানের প্রয়োজনে কাটিং প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আশা জাগালেও সেটা নিভে যায় পরের বলেই। মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ১৬৩ রানে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.