হাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হল থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: করোনা মহামারির কারণে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হল বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভূগী শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু হলের ৩০৯ নং রুমের এক শিক্ষার্থীর মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে হল প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভূগী শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসাইন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় উক্ত হলের ৩২৫ ,১১৮,২৩৬ রুমসহ কয়েকটি রুম থেকে রাউটার, ট্রাঙ্ক, মোবাইল, হেডফোন, মূল্যবান বই সহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসাইন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, হল বন্ধ হয়ার সময় নিজ কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসপত্র রেখে যাই। কিন্তু কক্ষে এসে দেখি রাউটার, ওয়াটার হিটার, জব প্রিপারেশনের সমস্ত বই, রান্না করার হাড়ি-পাতিলসহ প্রায় ৮ হাজার টাকা সমমূল্যের জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে। বন্ধ হলে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও হলে ঢুকে চুরি হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় “।
এ সময় তিনি আরও বলেন, করোনার বন্ধে এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় হল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আবার, ২৩৬ নম্বর কক্ষে চুরির অভিযোগ করে আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মাহবুব উল ইসলাম খান নিবিড় বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন,” জানালা থেকে আমার টেবিল টা দূরে থাকায় চোর শুধু আমার ল্যাম্পপোস্ট ভেঙ্গে লাইট নিয়ে গেছে। স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার অভাবে এই সব কাজের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কর্তব্যরতদের যথাযথ জবাবদিহি করলে এই সব চুরির পুনরাবৃত্তি হবেনা আশাকরি “।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হলের হল সুপার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি ৩০৯ নাম্বার রুমের চুরির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চুরি প্রতিরোধে আজ সোমবার (০১লা মার্চ) সকালে সহকারি হল সুপারগণ সহ অফিস কর্মকর্তাদের ডেকে ইতিমধ্যে মিটিং করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো শিক্ষার্থী হলে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিতে আসলে তার সাথে হলের অফিস স্টাফ সাথে রুমে প্রবেশ করবেন। অফিস সময়ের মাঝেই শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন থাকলে জিনিসপত্র নিতে পারবে। আবাসিক শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কোনো শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ প্রবেশ করতে পারবে না।
আজকের মাঝেই উক্ত ব্যাপারে লিখিত নোটিশ করা হবে। তবে আমরা চুরির ঘটনা গুলোকে গুরুত্বের সাথেই দেখছি। আমরাও চাই চোর ধরা পরুক। তবে আমার হলে পর্যাপ্ত স্টাফ ও গার্ড না থাকায় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি “।
উক্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন জানাব, হল সুপার চুরির বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অভিযোগপ্রাপ্ত সকল রুমের জানলার নক খোলা (কিছু জায়গায় লক বিকল)। তবে কোথাও গ্রিল কাটা কিংবা তালা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। হলের এন্ট্রি খাতা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় চুরি হওয়া রুমগুলো থেকে বিভিন্ন সময় একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করেছে।
উল্লেখ্য যে, গতবছর হাবিপ্রবির ডরমেটরি-২ হলের গণরুম থেকে অনেক শিক্ষার্থীর মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। এছাড়া শেখ রাসেল হলেও চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভূগী এক শিক্ষার্থী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.