হাবিপ্রবিতে জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সুষ্ঠু, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জিএসটি ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো জিএসটি পদ্ধতিতে একযোগে অনুষ্ঠিত হলো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। দুপুর ১২ টায় ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন এই পরীক্ষা পদ্ধতির। জিএসটি পরীক্ষার আওতায় আজ হাবিপ্রবিতে ৭০২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন রুম পরিদর্শন করেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। পরিদর্শন শেষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, “বাংলাদেশে আজ একটি ইতিহাস রচিত হলো। গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন। হাবিপ্রবিতে পরীক্ষার্থী উপস্থিতির হার প্রায় ৯৮% এর মতো এবং সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিয়েছে “।
এদিকে জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, “হাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারায় তাদের মুখে আনন্দের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। আমরা এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নিতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। এছাড়া অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা গুলো যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে আয়োজন করতে পারি সেজন্য আমাদের সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া আছে। প্রতিটি কক্ষেই আমরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সমূহ গ্রহণ করেছি “।
অন্যদিকে, রংপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আশা আশরাফি সিদ্দিকা নামের এক শিক্ষার্থী হাবিপ্রবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনেক চমৎকার একটি উদ্যোগ। এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমাদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীরা অনেক আনন্তিত । কারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আমরা ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবো “।
পক্ষান্তরে, মাকসুদুর রহমান নামের এক অভিভাবক অর্থের অপচয় কমে যাওয়ায় জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির প্রসংশা করে বলেন, “এর আগে আমার সন্তানকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা নেই। তাই আমার সন্তানেরা অত্যান্ত উৎসবমুখর পরিবেশে নিকটবর্তী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে। যা আমাদের মতো অভিভাবকদের জন্য অনেক স্বস্তির সংবাদ “।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ অক্টোবর ”বি” এবং ১ নভেম্বর ”সি” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে হাবিপ্রবির গণমাধ্যাম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে দেখা গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.