হাবিপ্রবিতে গবেষণাগ্রন্থ লেখার উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সায়েন্টিফিক পেপার, থিসিস লেখা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের উপর ৪ (চার) দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। বৃহঃপতিবার (৩রা নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ কর্মশালাটি প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬ টায়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বলরাম রায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক রাফিয়া আখতার এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. মেহেদী ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, ” আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে। যার সুদীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। আজ ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে ১৫ আগস্টের পর একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য ও মেধা শুন্য করতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতাকে ঘাতকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে পেয়েছি “।
এসময় উপাচার্য আরও বলেন, ” বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে যাচ্ছেন। এই গঠন প্রক্রিয়ায় গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন একটি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত বেশি গতি পাবে সেই দেশের উন্নতি তত বেশী ত্বরান্বিত হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এজন্য আমি আইআরটি’র পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই “। এসময় হাবিপ্রবির উপাচার্য উক্ত কর্মশালাটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এদিকে, প্রধান অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্যের পূর্বে বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও শিক্ষকবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রথমপর্ব শেষ হয়।
পরে, থিসিস লেখার কৌশলের উপর প্রথম সেসনে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় অংশ নেন হাবিপ্রবির উপাচার্য। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে অংশ নেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বলরাম রায়, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সবুজ আলী।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের ১১০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি গতবছর থেকে আইআরটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সকল শিক্ষার্থীদের ব্যাগ উপহার দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.