কলকাতার প্রথিতযশা বিশিষ্ট কবি শ্রী হেমন্ত সরখেলের একটি কবিতা “হাত চিত্”

হেমন্ত সরখেল: (কলকাতা):
হাত পেতে বসা আজকাল 
মজ্জায় আসছে যেন
স্থান কালটাই যা একটু অন্যভাবে সাজানো।
বুক একটু বেশী উদোম হয়েছে
চোখের চামড়া বেশ গুটিয়েছে
যা যা পড়ছে খোলা বিভ্রম ছেদ করে
ছুঁয়ে নেওয়া যাবে-
ভেবেই প্রসন্ন।
মানবিক দ্যোতনা কুস্থানে মন্ত্রগুপ্তি
লাগছে ভালোর- জিগির তোল
ভাবনা লোল 
তাতে কি!
পাল্টে ভোল
শিকেয় ডিমে লুকানো অবলুপ্তি।
তালু ফুটো হয়- আসমান বিরহিণী 
কতদিন যে ওর বদনাম ঠোঁটে ছুঁয়ে দেখিনি !!
তারপরই শিশিরে ধুয়ে নেওয়া হাত
আরো বেশী অংশে জড়িয়ে যেতে আমন্ত্রণী উল্কাপাত।
সবটাই সার্থক হতে পারতো
দীর্ঘশ্বাস যদি মুঠোয় ঢুকে
আমি আমি রঙ মেখে চোখে-মুখে
ছলা-কলায় ব্যর্থ মেনে 
অভিমানী বসে পড়তো!
এই যে আমি হাত পেতে বসা
এই যে আঙুলে বিষাদে জরা
এই হরদিন দেওয়া-নেওয়া কষা
এই যে নিমেষে সুখ কাছছাড়া।
পিছু হটি না
পাতা হাতের বড্ডো লোভ
সব কিছু ঘিরে কেন জানি না
দেখি জমে আছে ক্ষোভ!
সত্যিই আজ পেতে রাখা হাত বাধ্যতা
জানু-মাথা-প্রেম অনভিজ্ঞ সখ্যতা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.