হাতীবান্ধায় গৃহবধুকে এসিডে দগ্ধের ঘটনায় শশুর শাশুড়ি গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পারিবারিক কলহের জেরে মাহমুদা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে এসিড দগ্ধের ঘটনায় ওই গৃহবধূর শশুড় ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোর রাতে জামালপুর সদর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকার আতোয়ার রহমান ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম। তারা দুজনে মাহমুদা খাতুনের শশুড়-শাশুড়ি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আঙ্গুর ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, জামালপুর সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আতোয়ার রহমান ও হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। থানায় নেয়ার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, গৃহবধূকে এসিড দগ্ধের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে জামালপুর এলাকায় হাতীবান্ধা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালাচ্ছে। কাউকে আটক করেছে কিনা আগেই বলতে পারবো না। থানায় তাদের বুঝে পেলে তবেই মন্তব্য করতে পারবো। এর আগে আর কিছু বলতে পারছিনা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেড়ে মাহমুদা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন শশুড় বাড়ির লোকজন। এতে ঝলসে যায় তার শরীরের পিছনের অংশ।
পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরেই ওই রাতেই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর ননদ আছিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী মাহমুদা খাতুন উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পিওরপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.