হাওড়া ডিভিশনে চালু হতে চলেছে জিআইএস ম্যাপিং

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: স্টেশন ও রেল ট্র্যাকগুলির জিআইএস ম্যাপিং করে সেই তথ্য ভাণ্ডার জমা করা হবে এই বিশেষ অ্যাপে। এর ফলে রেল অবরোধ থেকে শুরু করে যে কোনও অপ্রীতিকর অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহল হওয় যাবে। সেই মতো চটজলদি ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে।
কি সেই জিআইএস। এক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকের কথায়,জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম। এর দ্বারা যে কোনও সময় যেকোন অবস্থায় রেলের গতিপ্রকৃতি,রেল ট্র্যাকগুলিতে কোনও অবরোধ হলো কি না বা চোরাই মাল ঘুরপথে বেরিয়ে যাচ্ছে কি না বা যাত্রীরা পন্য মাশুল ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে কি না।
এসব তথ্য সম্বন্ধে যেমন ওয়াকিবহল হওয়া যাবে তেমনি সমস্ত তথ্য সিস্টেমে লোডও করা যাবে। একদিকে যেমন কমবে যাত্রী হয়রানি অন্যদিকে তাদের নিরাপত্তার দিকগুলিও নজরে আসবে। অপ্রীতিকর অবস্থা রোধ করার মতো ব্যবস্থাতো থাকছেই।  ইতিমধ্যেই ট্রায়াল শুরু হয়েগিয়েছে।সাফল্য বুঝে হাওড়ার রেল পুলিশের অধীনস্থ সব স্টেশনেই তা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া রেল পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ হাওড়া দিয়ে যাতায়াত করেন। হাওড়া থেকে একদিকে আসানসোল অন্যদিকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা হাওড়া রেল পুলিশ সুপারের অধীন পড়ে।
রেল পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে,বেলুড়,শেওরাফুলি,বালি,ডানকুনি,কাটোয়া,বর্ধমান,অণ্ডাল,রানিগঞ্জ সহ একাধিক স্টেশনেই বিভিন্ন সময়ে অবরোধ লক্ষ করা গেছে। যে কারনে আটকে পড়ছে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন গুলি। সেই সঙ্গে ছিনতাই ও লুটের ঘটনাও হয়ে থাকে। বহুদিন ধরেই ডিস্ট্রিক্টের কর্তারা এসব ঘটনা নিয়ে বিব্রত ছিলেন।
নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রী নিরাপত্তা তথা অবরোধ ও যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানো যাবে বলে আশা পুলিশ প্রশাসনের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.