হাইভোল্টেজ ভবানীপুর উপ-নির্বাচন

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: আজ হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। যাকে ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়ছিল ক্রমশ ঊর্ধ্ব গতিতে। আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটল ঘড়ির কাঁটার ঠিক সকাল সাতটা থেকে ভোট দান শুরু করে সন্ধা প্রায় সাড়ে পাঁচটায়।
এখান থেকেই হেভিওয়েট প্রার্থী হয়েছেন মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঠিক বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর ভোটদান কেন্দ্র মিত্র ইন্সটিটিউশনে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এখান থেকেই প্রার্থী হয়েছেন সি পি এমের নবাগত প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাস ও অপর প্রার্থী বি জে পির গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালা।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২লক্ষ ৬হাজার ৫২২জন ভোটারের উপর বর্তেছে ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী করার।
তাই আজ বলতে গেলে সারা ভারতবর্ষের নজর শুধুই দক্ষিণ কলকাতামুখী -হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভাবানীপুরের দিকে ছিল৷
আবহাওয়া দপ্তরের খবর ছিল দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে সন্ধে পাঁচটা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৫৩শতাংশের কিছু বেশী কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে পুর-প্রশাসক শ্রী ফিরহাদ হাকিম জানান ভোট দানের হার ছিল প্রায় ৬০শতাংশ,পরে এটা বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন ভোট ছিল সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ। যদিও বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করে কিন্তু প্রশাসনের তীক্ষ্ণ নজরে তা সম্ভব হয়নি বলে বলেন।
বিজেপি প্রর্থীর অভিযোগ ছিল তৃণমূল দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকার এক ব্যক্তিকে ৫০০টাকা দিয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে বলে কিন্তু কমিশন তা ভিত্তিহীন বলে। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল শ্রী ফিরহাদ হাকিম বুথজ্যাম ও ভোটারদের প্রভাবিত করছে,কমিশন সে অভিযোগও নস্যাৎ করেন।বিজেপি প্রর্থীর আরও কিছু অভিযোগ ছিল কিন্তু ফুটেজ দেখাতে না পারায় সে দাবিও অগ্রাহ্য হয়।
পরে বিজেপি প্রর্থী সাংবাদিকদের বলেন তৃণমূল নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছে।
পাশাপাশি পুলিশি নিরাপত্তা ছিল লক্ষণীয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয়তাও ছিল নজর কারার মতো।
দুপুরের দিকে খালসা স্কুল ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষ নজরে আসতেই পুলিশ প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া ভোট গ্রহণ পর্ব মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.