হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখান দেশটির প্রধানমন্ত্রীর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রেসিডেন্ট জোভনেল ময়েসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহ খারিজ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটি ‘উগ্র রাজনৈতিক স্বার্থে’ উদ্দেশ্যমূলক গোলযোগ।
সামাজিক নেটওয়ার্কে পোস্ট করা সরকার প্রধানের এক বিবৃতি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট হত্যার রাতে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে টেলিফোন কথোপকথন নিয়ে গোলযোগ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একটি সাজানো ঘটনা।’
ময়েসকে গত ৭ জুলাই পোর্ট-অ-প্রিন্সে তার বাসভবনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হামলার আদেশদাতা সন্দেহে কয়েক ডজন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবুও ঘটনার রহস্যের জট খুলেনি।
মঙ্গলবার পোর্ট-অ-প্রিন্সে ফেডারেল কৌঁসুলির মর্যাদার সরকারি কমিশনার বিচারককে হেনরির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার দাবি জানান। হত্যার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা জোসেফ ফিলিক্স বাদিও’র সঙ্গে হেনরির টেলিফোন আলাপ হয়েছে বলে এই অভিযোগ ওঠে।
ময়েসের হত্যার পর তার বাসভবনের কাছে থেকে ৭ জুলাই ভোরে বাদিও দুইবার এরিয়েল হেনরিকে ফোন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিচারককে অভিযোগ আনার অনুরোধ জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে হেনরি সরকারি কৌঁসুলিকে বরখাস্ত করা হয়। বুধবারই তিনি তার বিচারমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট ময়সের হত্যার ঘটনায় ১৮ কলম্বিয়ান, হাইতির বংশোদ্ভুত ২ আমেরিকানসহ  ইতোমধ্যেই ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.