হাঁস পালন করে সফলতার ২৫ বছরে আব্দুর রাজ্জাক


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের পারগুরুদাসপুর-নারায়নপুর ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক। এলাকার সবাই তাকে হাঁস রাজ্জাক বলে চেনেন। বয়স পঞ্চাশোর্দ্ধ হলেও ২৫ বছর ধরে সফলতার সাথে উন্নত জাতের হাঁস পালন করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। তার ‘বেলজিয়াম’ হাঁসের খামার দেখে স্থানীয়ভাবে অনেকেই খামার গড়তে এগিয়ে আসছেন। এ হাঁসের খামার সচ্ছলতার প্রতীক বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার ঘরবাড়ি কিছুই ছিলনা। আল্লাহর রহমতে হাঁসের খামার করে এখন আমার ঘরবাড়ি ও জমিসহ মাছ চাষের পুকুর সব হয়েছে। সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে বিভিন্নভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিজ বাড়িতেই ‘বেলজিয়াম’ জাতের হাঁস দিয়ে খামার শুরু করি। বর্তমানে ৪০০টি বাচ্চা হাঁস রয়েছে এবং সোয়া ২০০ বড় হাঁস প্রতিদিন গড়ে ১৬০টি করে ডিম দিচ্ছে। ডিমের দাম ১২টাকা পিচ। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করেই ২ হাজার টাকা আয় হয়। এরমধ্যে খরচ ৯০০ টাকাসহ ১ হাজার টাকার হাঁসের ওষুধ প্রয়োজন হয়।
জানা যায়, ভুট্ট্রা আর ধান এই ‘বেলজিয়াম’ হাঁসের খাবার। প্রথমে কোনো হেচারী না থাকায় ১৫০টি হাঁসে ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে খামারে হাঁসের সংখ্যা বাড়ান আব্দুর রাজ্জাক। এখন বাচ্চাসহ ৬০০টি হাঁস প্রতিদিন ৩০ কেজি করে খাবার খায়। মাসে ১০ হাজার টাকা বেতনের একজন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। হাঁসগুলোর খাবার ও আনুসাঙ্গিক ব্যয় বাদ দিয়ে ডিম বিক্রি করেই প্রতি মাসে ১০ হতে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ২৫ বছর ধরে শ্রম আর ধৈর্যের সাথে হাঁসের খামার করে আসছি। দুই মেয়ের বিয়েও দিয়েছি। ব্যয় বাদ দিয়েই স্বাচ্ছন্দে সংসার চলছে। এ হাঁস পালন করে এখন আমি সফল-স্বাবলম্বি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.