হরিজনদের সাথে একবেলা আহার

                                             

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “হরিজনদের সাথে একবেলা আহার” আজ ১৩ জানুয়ারি বিকাল ৩টায়, বগুড়া, সান্তাহার শহীদ মিনার (রেলস্টেশন সংলগ্ন) এর সামনে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে জনসচেতনতামূলক “হরিজনদের সাথে একবেলা আহার” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মওলবি আশরাফ, পারভেজ হাসান সুমন, খালিদ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, গালিব মুহাম্মাদ এবং সান্তাহার বাশফোড় হরিজন কল্যান পরিষদের সভাপতি শ্রী বৈরাগী লাল বাশফোড়, সহসভাপতি শ্রী গঙ্গা বাশফোড়, সেক্রেটারি শ্রী শান্ত বাশফোড়, কৃষ্ণা হারী সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
উক্ত হরিজনদের সাথে একবেলা আহার আয়োজনে সংগঠকদের পক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন মওলভি আশরাফ বলেন, গত ১১ জানুয়ারিতে টিভি নিউজের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি সান্তাহারে হরিজনদের সাথে বৈষম্যমূলিক আচরণ হয়। আমরা জানি ইসলাম ধর্মে বৈষম্যের কোন স্থান নেই। তাই আমরা এইরকম অপৃতিকর ঘটনার জন্য লজ্জিত হই তাই আমরা উদ্যোগ নেই হরিজনদের সাথে একবেলা আহার করে সম্পৃতির বার্তা দিতে। আমরা চাই পৃথিবীর সবজায়গা থেকেই এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ দূর হোক। স্থানীয় মুসলমানদের আমরা আহব্বান জানাই আমরা যেন সমাজের এই অমানবিক বৈষম্য দূর করে মিলেমিশে থাকি।
আয়োজকদের পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন পারভেজ হাসান সুমন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল মানুষ সম অধিকার ও মর্যাদার অংশিধার। আমরা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ স্বীকার করিনা। আমরা সান্তাহারে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মিশে তাদের প্রতি অন্যদের সামাজিক বৈষম্য অবলোকন করেছি। একবিংশ শতাব্দীতে এসে এইরকম ভেদাভেদ আমাদের মর্মাহত ও লজ্জিত করে। বাংলাদেশের একজন তরুণ হিসেবে সকলকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানে একসাথে কাজ করার আহব্বান জানাই। এবং এরই পরিপেক্ষিতে আজকে আমাদের হরিজনদের সাথে একবেলা আহার কর্মসূচি আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
সভাপতি শ্রী বৈরাগীলাল বাশফোড় বলেন, বাংলাদেশে শুধু শান্তাহারেই এইরকম বৈষম্য হয়, আমাদের ব্যাটাবেটিরা শিক্ষিত তবুও তাদেরকে হোটেলে খেতে দেয়া হয়না। কাগজে করে হোটেলের বাইরে কুকুরের মত খেতে দেয়। আমরাও টাকা দিয়ে খাই, আমাদেরকেও একসাথে অন্যদের মত খেতে দিতে হবে।
সান্তাহার হাড়ী সমাজের সভাপতি শ্রী কৃষ্ণা হাড়ী বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা যখন স্কুল-কলেজে যায় তখন তারা নানাভাবে সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়। অন্যান্য বন্ধুদের সাথে যখন হোটেল ঢুকতে যায় তখন তাদের হোটেলে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়, অপমান লাঞ্চনার শিকার হয়, আমরা এই দেশের নাগরিক হিসেবে সকল রকম বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
নিবেদক, পারভেজ হাসান সুমন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.