হবিগঞ্জে এবারের ঈদ কার্ডে ছবি আঁকিয়েছে প্রতিবন্ধী শিশু শিল্পী চাঁদনী আক্তার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: কথা বলতে না পারা বা কথা বলার শক্তি নেই তার, হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান, সামাজিকভাবে অনেক প্রতিকূলতা, সংসারে অভাব থাকলেও ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচন্ড, যে কোন ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার খবর জানলেই সে তার মায়ের সহযোগিতা নিয়ে ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

এই স্পেশাল চাইল্ডের পুরো নাম, চাঁদনী আক্তার, বয়স ১৩, সে হবিগঞ্জ জেলার, সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের বাড়া পইল গ্রামের মোঃ লকোছ মিয়ার মেয়ে। সে ব্রাক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় একটি ছবি আঁকার স্কুলে নিয়মিত ছবি অংকন শিখায় অংশগ্রহণ করে, পাশাপাশি সে “মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, “নারী ও বালিকা নিরাপত্তা প্রকল্প” এর বাস্তবায়নাধীন সংস্থা হবিগঞ্জ উন্নয়ন সংস্থার একজন সদস্য।

চাঁদনীর বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, মা পারভীন আক্তার সংসারের গৃহিণী তিন ভাই-বোনের মধ্যে চাঁদনী বড়। তার সবার ছোট ভাইটিও বাঁক প্রতিবন্ধী। চাঁদনীর ছবি আঁকার পেছনে তার মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। মা ই সবসময় তাকে সহযোগিতা করেন।

হবিগঞ্জ উন্নয়ন সংস্থার (WGSP) প্রকল্পের সদস্য হওয়ায় প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব আরেফ আলী মন্ডলের মাধ্যমে ঈদ উল-ফিতর এর একটি ছবি আঁকার প্রস্তাবনা দেয়া হয়, ছবিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে জমা দেয়া হবে বললে চাঁদনীর মা তাকে নিয়ে হবিগঞ্জ উন্নয়ন সংস্থার WGSP অফিসে আসেন, তাকে বুঝিয়ে বললে তিনি তার মেয়েকে বুঝিয়ে বললেন।

অতঃপর চাঁদনী ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে এই চিত্রাঙ্কন করে, (ছবি) পরবর্তীতে প্রকল্প সমন্বয়কারী আরিফ সাহেব এর সহযোগিতায় চিত্রাঙ্কনটি জেলা প্রশাসকের অফিসে জমা দেয়া হয়। পরে  জেলা প্রশাসকের অফিস ওই চিত্রাঙ্কনটি জেলা প্রশাসকের ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য মনোনিত করেন। চিত্রাঙ্কনের বিনিময়ে চাঁদনীকে জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে নগদ অর্থমূল্য (৫,০০০টাকা) পুরস্কার প্রদান করেন।
টাকা পেয়ে চাঁদনীর পরিবার অনেক খুশী হয়েছে। চাঁদনীর মা বলেন এই কঠিন দুঃসময়ে এই অর্থ আমাদের পরিবারের জন্য অনেক অনেক উপকারে আসবে। এজন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.