হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় তথ্য সংগ্রহে পুলিশের বাঁধা, ছেলের দায় পিতার ঘাড়ে 

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আমুরোড কালামন্ডল গ্রামে ছেলের অপকর্মের সাজা পেলেন সফিক মিয়া নামের এক হতভাগ্য পিতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার সন্তানকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। তবে এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন সফিক মিয়া।

গত ১২ নভেম্বর সফিক মিয়ার পুত্র এমরান তারই প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়ার এইচএসসি পড়ুয়া কন্যাকে ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার। খবর পেয়ে চুনারুঘাটের এসিল্যান্ড পুলিশ নিয়ে এমরান কে ধরতে অভিযান চালান। কিন্তু এসময় তাকে না পাওয়ায় তার পিতা সফিক মিয়াকে আটক করা হয়।

পরে ছেলেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পুলিশ সন্ধ্যায় তাকে থানায় নিয়ে আসে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের বাসিন্দা স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা থানায় সফিক মিয়ার ছবি তুলতে যান এসময় ওসি নাজমুল হাসানের নিকট গেলে তিনি না থাকায় তাকে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় অন্য পুলিশ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে ছবি সংগ্রহ করতে গেলে কতিপয় পুলিশ অফিসার সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন।

এমনকি মোবাইলও নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মোবাইল না নিয়েই সাংবাদিকরা ফিরে এলে রাত ৯ টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার এক সিনিয়র সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফেরত দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.