হতাশ প্রান্তিক কৃষকরা আদমদীঘিতে সরকারি গুদামে এখনও ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এবার সান্তাহার সিএসডিসহ ৪টি খাদ্য গুদামে ১৪ হাজার ৪.৪৭ মেিিট্রক টন চাল ও ৩শত ৬৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অত্র উপজেলায় ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়নি।

এদিকে প্রান্তিক কৃষক বাছাইয়ের অজুহাতে কালক্ষেপন করার ফলে বর্তমানে ধানের বাজারে দাম কম থাকায় কৃষকরা সরকারি ভাবে ধান দিতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।

আদমদীঘি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে সান্তাহার সিএসডি খাদ্য গুদামসহ আদমদীঘি উপজেলার ৪টি এলএসডি খাদ্য গুদামে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ১৪ হাজার ৪.৪৭ মেট্রিক টন চাল ও প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা মূল্যে ৩শত ২৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।

চাল মিলারের মাধ্যমে ও ধান সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করা করার কথা। গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরকারি খাদ্যগুদাম গুলোতে ধান ও চাল ক্রয় বা সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হলেও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এক কেজি ধানও ক্রয় করা হয়নি। তবে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের নিকট থেকে এ পর্যন্ত ৪টি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে ১ হাজার ৭শত ২৯.৭৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

এরমধ্যে সান্তাহার সিএসডি খাদ্য গুদামে ৪শত মেট্রিক টন, সান্তাহার এলএসডি ৯শত ৫২,৭৪০ মেট্রিক টন, আদমীঘি সদর এলএসডি ২শত ০৭ মেট্রিক টন ও নসরতপুর এলএসডি খাদ্য গুদামে ১৭০ মেট্রিক টন চাল সংগৃহিত হয়।

কৃষক মোকছেদ আলী, মিজানুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, খাদ্য গুদাম গুলোতে ধান ক্রয় শুরু না করার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। এদিকে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ক্রয় শুরু না হওয়ায় কৃষকরা সরাসরি ধান দিতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আগামী ৩১ আগষ্ট ধান ও চাল ক্রয় অভিযান শেষ হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহেন শাহ হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, অত্র উপজেলায় ২০ হাজার ৯শত ৯১জন কৃষকের তালিকা রয়েছে এরমধ্যে ৩ হাজার ৬৩ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষক প্রতি ১ মেট্রিক টন করে ধান সরবরাহ করতে পারবেন।

কিন্তু প্রান্তিক কৃষক বাছাই সম্পন্ন না হওয়ার কারনে ধান ক্রয় শুরু করা সম্ভব হচ্ছেনা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.