হঠাৎ দিল্লি মেট্রোতে কী করছেন মোদি?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আচমকাই দিল্লি মেট্রোর যাত্রী হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের কনভয় ছেড়ে মেট্রোতে চেপেই রওনা দিলেন দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে। দিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের অদূরেই আছে দিল্লি মেট্রোর একটি স্টেশন। এদিন সকালে আচমকাই কনভয় ছেড়ে মেট্রো স্টেশনে নামেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কল্যাণ মার্গ স্টেশন থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাস লাগোয়া মেট্রো স্টেশনে নামেন মোদি। এরপর ফের গাড়িতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পৌঁছান।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জন্য আগেই টোকেন কেনা হয়েছিল। যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত রুট দিয়েই প্রধানমন্ত্রী স্টেশনে প্রবেশ করেন। আচমকা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে যাত্রীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি কামরা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। মোদি ওঠার পর এসপিজি কিছু যাত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কামরায় যাওয়ার অনুমতি দেয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী দেশের আরও পাঁচজন সাধারণ যাত্রীর মতই মেট্রোতে সফর করেন। গোটা যাত্রাপথে মেট্রোরেলের যাত্রীদের পাশে বসে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কথাও মন দিয়ে শোনেন। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই মেট্রো সফরের একাধিক ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
মেট্রোরেলে করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। বলেন, তরুণ সহযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে তার।
তবে প্রধানমন্ত্রী কেন এমন আচমকা মেট্রো সফর করলেন, তা নিয়ে বেশ কৌতুহল দেখা গিয়েছে। কারণ দিল্লি মেট্রোর একাধিক সেকশন উদ্বোধনের সময় নরেন্দ্র মোদি মেট্রো সফর করলেও এটি ছিল তার সরকারি কাজে বেরিয়ে প্রথম মেট্রোযাত্রা।
অনেকেই মজা করে বলছেন, রাহুল গান্ধী যেভাবে ট্রেনে-বাসে উঠে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছেন তা প্রধানমন্ত্রীকেও ভাবিয়েছে। অনেকেই আবার অফিস টাইমে দিল্লির ভয়ংকর যানজটের কথা বলছেন।
সম্প্রতি শতবর্ষে পা দিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই উপলক্ষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কর্মসূচি ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। সেখানে তিনটি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একটি কফি টেবিল বইয়ের উদ্বোধনও করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.