হংকংয়ে না খেলায় মেসির সততা নিয়ে প্রশ্ন!

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: হংকংয়ে খেলেননি। কিন্তু জাপানে ইন্টার মায়ামির হয়ে ঠিকই মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাতে ক্ষোভটা যেন আরও প্রকট হয়ে ধরা দিলো। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম, হংকংয়ের রাজনীতিক ও ভক্তরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। না খেলায় ইন্টার মায়ামি ও মেসির সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
চীনের গ্লোবাল টাইমসের মতে, হংকং ম্যাচে মেসির অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাদের কথা, ‘প্রাক মৌসুমে ৬ ম্যাচের মধ্যে একমাত্র হংকং ম্যাচেই মেসি খেলেননি। চলমান অবস্থাটা আসলে… এই ধরনের অবিশ্বাস এবং মেসি ও তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির সততার প্রতি সন্দেহের উদ্রেক করছে।’
সমস্যাটা হয়েছিল ম্যাচের আগেই। গত শুক্রবার মায়ামি কোচ টাটা মার্টিনো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রীতি ম্যাচটায় মেসির খেলারসমূহ সম্ভাবনার কথা। কিন্তু আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী যে এর আগে থেকেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছিলেন। ফলে ওই ম্যাচে তাকে রাখেননি কোচ। বার্সেলোনার আরও সাবেক তিন তারকা সের্হিও বুসকেৎজ, লুইস সুয়ারেজ ও জর্ডি আলবাকেও রাখেননি তিনি। তবে কাতার বিশ্বকাপ জয়ী বেঞ্চে বসে ম্যাচটা উপভোগ করেছেন। তাতে ভীষণ হতাশ হন দর্শকরা। ম্যাচের সময়ই ‘রিফান্ড’ বলে চেঁচিয়েছেন তারা। সার্বিক বিষয়টিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশটির সরকারও।
কারণ, ম্যাচের জন্য সরকারিভাবে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। ১৫ মিলিয়ন হংক ডলার অর্থায়নের অনুমোদন করেছিলেন তারা। তার সঙ্গে ভেন্যুর জন্য অনুদান ছিল ১ মিলিয়ন হংক ডলার।
মেসিকে দেখার জন্য মূল ভূখণ্ড জিনজিংয়াং থেকে ১২ ঘণ্টার সফরে অনেকেই হংকং এসেছিলেন। কিন্তু মেসি না খেলায় বিষয়টিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছে গ্লোবাল টাইমস, ‘এই ঘটনার প্রভাব খেলাধুলার পরিমণ্ডল থেকেও বহুদূর ছাড়িয়ে গেছে।’
অবশ্য জাপান ম্যাচের আগেই চীনা ভক্তদের কাছে ওয়েইবোতে ক্ষমা চেয়েছেন মেসি। এক্সের মতো একই প্ল্যাটফর্মটিতে মেসি চীনা ও স্প্যানিশ ভাষায় বলেছেন, ‘যারা আমাকে চেনেন, তারা ভালো করেই জানেন আমি সব সময় খেলতে চাই… বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে যেখানে অনেক দূর আমরা সফর করে আসি এবং লোকজন ম্যাচ দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে। আশা করবো, আমরা আবার আসতে এবং হংকংয়ে একটা ম্যাচ খেলতে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.