স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে জয় স্টোনসের কাছে ‘টার্নিং পয়েন্ট’

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: পথচলা শেষ হয়ে যাওয়ার প্রবল চোখ রাঙানি উড়িয়ে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে পাওয়া জয়ই নিজেদের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ মনে করছেন জন স্টোনস। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অভিজ্ঞ এই ইংলিশ ডিফেন্ডার বললেন, ওই জয় তাদের মনে রাখছে ইতিবাচক প্রভাব।
ডুসেলডর্ফে শনিবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
২০২০ সালে রানার্সআপ হওয়াই ইউরোপ সেরার আসরে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। ওই আসরেই প্রথম এবং সবশেষ কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলেছিল সুইজারল্যান্ড।
চলমান আসরে ইংল্যান্ড এখনও সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি। অন্যদিকে, সুইসরা দারুণ খেলে সমীহ আদায় করে নিয়েছে বাকিদের। শেষ ষোলোয় তারা বিদায় করে দেয় শিরোপাধারী ইতালিকে।
শেষ ষোলোয় দুই দলের পথচলা ছিল ভিন্নরকম। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে হারতে হারতে ২-১ গোলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে জুড বেলিংহ্যাম দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে সমতা ফেরানোর পর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই হ্যারি কেইন করেন জয়সূচক গোলটি।
ওই রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন স্টোনস। নেদারল্যান্ডস ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দিলেন সেরে ওঠার স্বস্তির খবর। বললেন, শেষ ষোলোর জয় এখনও সমর্থকদের মন ভরাতে না পারা ইংল্যান্ড দলের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
“এটা (স্লোভাকিয়া ম্যাচের জয়) আমাদের জন্য মানসিকভাবে টার্নিং পয়েন্ট। কাজটা ভীষণ চাপের মুহূর্তে করা, শেষ দিকে করা- এই বিষয়গুলো একটা দল হিসেবে আমাদের অনেক কিছুতে পরিবর্তন আনবে। এখনও সেই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।”
ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৭৬ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে স্টোনসের, কিন্তু প্রাপ্তির খাতায় আঁচড় পড়েনি এখনও। ৩০ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার খুব করে চাইছেন এবারের ইউরো জিতে ঘরে ফিরতে।
“এটা আমার জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর, যেন জয়ের অনুভূতি নিয়ে আমি শেষটা করতে পারি। একটা জাতি হিসেবে এবং দেশে যারা আছে, তাদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করে এবং যে কাজটা অতীতে হয়নি, সেটাই এই ছেলেরা করতে পারে। আর সেটা হলো ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.