স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-মন্ত্রণালয়ের দোষারোপ’র খেলা, চুপ সচিব-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: দিন দিন খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি। এখন যেখানে অনেক বেশী সমন্বয়ের দরকার, সেখানে আরও বেশী প্রকাশ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের বিপর্যস্ত চিত্র। একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশের পর মন্ত্রণালয় দুষছে অধিদপ্তরকে।

আর অধিদপ্তর বলছে, মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতেই হচ্ছে সব কাজ। সমন্বয়হীনতার পুরো বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচিবালয় থেকে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দূরত্ব সাড়ে ৮ কিলোমিটার। কিন্তু দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বোঝাবুঝির ফারাক যেন যোজন যোজন।

ছবি বলছে, রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পাশাপাশি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব সহ সবাই। গত ১১ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহাপরিচালকের দাবী, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই রিজেন্টের সাথে হয়েছে সমঝোতা স্বাক্ষর। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরের দিনই এ বিষয়ে ব্যাখা চেয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় মহাপরিচালককে।

এ বিষয়ে আজ সোমবার (১৩ জুলাই) কথা বলতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্য সচিবের সাথে। তিনি মহাপরিচালকের ব্যাখা আসার আগে আগামী ৩ দিন কথা বলতে নারাজ।

স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয়ে আমরা ব্যাখা চেয়েছি। ব্যাখ্যাটা আসুক। পরে কথা হবে।

পরে সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে আলাদা করে জানতে চাওয়া হলেও এ বিষয়ে কথা না বলে এড়িয়ে যান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় দুর্যোগের এ সময়টায় শীর্ষ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দুঃখজনক।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, সমন্বয়হীনতার অভিযোগ বাংলাদেশে প্রথম থেকেই ছিল। এখন মনে হচ্ছে এটা প্রকাশ্যে এসে গেছে।

মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরস্পরের দোষারোপের এ খেলা দুটি প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনাকে আরও দৃশ্যমান করে তুলছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.