স্বামীর পাশে শক্ত অবস্থানে জিল বাইডেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বামীর হয়ে নির্বাচনি মাঠে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (৭৩)। গত সপ্তাহে এক বৈঠকে জিল বলেন, ওই পদে (প্রেসিডেন্ট) জো শুধু একজন সঠিক ব্যক্তি নন, বরং তিনি একমাত্র ব্যক্তি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘বিপর্যয়কর’ বিতর্কের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠেছে। তখন স্বামীর পাশে শক্ত অবস্থান নেন জিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের বিতর্কের পর গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কনটেন্টে দেখা যায়, বিতর্ক শেষে সিএনএনের স্টুডিওতে কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে নেমে আসতে স্বামীকে হাত ধরে সহায়তা করছেন জিল।
এর পরের দিনগুলোয় নর্থ ক্যারোলাইনায় স্বামীর নির্বাচনি প্রচারে দেখা যায় জিলকে। এ সময় তিনি এমন একটি পোশাক পরে ছিলেন যেটায় ‘ভোট’ লেখা ছিল।
এ বিষয়ে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিষয়ের অধ্যাপক টমি ভিজিল বলেন, আমার মনে হয়, তিনি (জিল বাইডেন) পণ্ডিতদের মতো প্রভাবশালী। বাইডেনের কাছে তার মতামত সম্ভবত অন্যদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
টমির মতে, জিলের সমর্থন ছাড়া বাইডেনের পক্ষে নির্বাচনি দৌড়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব না।
সোমবার বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ সাময়িকী তাদের আগস্ট সংস্করণের প্রচ্ছদ প্রকাশ করেছে। এই প্রচ্ছদে সাদা রঙের গাউনে দেখা গেছে কমিউনিটি কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক জিলকে। তবে জিলের এই ছবি ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের ‘বিপর্যয়কর’ বিতর্কের বহু আগে গত এপ্রিলে তোলা। জিলকে নিয়ে ভোগের নিবন্ধটিও গত এপ্রিলে লেখা।
তবে পরে নিবন্ধে একটি সম্পাদকীয় নোট যুক্ত করা হয়েছে।  নোটে যা আছে তা হলো, বাইডেন-ট্রাম্পের বিতর্কের পর যখন বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠেছে, তখন ফার্স্ট লেডি জিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা হয়েছে।
বিতর্ক প্রসঙ্গে জিল বাইডেন ভোগ সাময়িকীকে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চার বছরের মেয়াদকালকে ওই ৯০ মিনিট (বিতর্কের সময়) দিয়ে বিবেচনা করে না পরিবার।
নিজের পেশাজীবন ও ফার্স্ট লেডির সরকারি দায়িত্ব সমানতালে সামলে গেছেন জিল। কলেজে পড়ানোর পাশাপাশি বড়দিনের উৎসবে হোয়াইট হাউস সাজিয়েছেন, নৈশভোজ আয়োজন করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.