স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত বঙ্গভবনে

ছবি Online

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক : গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বঙ্গভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজ পাতা দিয়ে তৈরি একটি পতাকা অনুষ্ঠানে আনে ভিন্নমাত্রা। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ; সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকেল পৌনে ৫টায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছান তার কিছুক্ষণ আগে। রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সংগীত। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তাঁরা। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপ্রতি মোঃ আবদুল হামিদ।

এরপর বঙ্গভবনের মাঠে ভিভিআইপি এনক্লোজারে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর প্রধান, সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

বিশিষ্টজনদের নিয়ে কেক কাটা, শুভেচ্ছা বিনিময়, সুরের মূর্ছনাসহ নানা আয়োজনে বঙ্গভবনে উদ্যাপিত হলো স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের এই সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও ছিলেন অনুষ্ঠানে, ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, এইচ টি ইমাম ও মসিউর রহমান।

ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক, চীনের দূত ঝ্যাং জুয়ো, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের দূত জর্জ কোচেরি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত রেনসে টিরিংক, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অতিথি হয়ে। নাট্যব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ শিল্পাঙ্গনের বিভিন্ন পরিচিত মুখ বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন। ভারতের প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, হৈমন্তী রক্ষিত, কোনাল ও হায়দার হোসেন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.