স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে পরামর্শ চেয়ে ছিলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: জালিয়াতির অভিযোগে পলাতক শাহেদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আত্মগোপনে থাকা শাহেদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে আরও অভিযোগ। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, যেখানেই থাকুক পার পাবে না সে। অভিযানের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে শাহেদ তদবির করারও চেষ্টা করেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, শাহেদের বাবা সিরাজুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে মারা যান। আজ শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে তার দাফন হয়। যেখানে ছিলেন না পরিবারের কেউ।

গত ৪ জুলাই অসুস্থ বাবাকে ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ভর্তি করেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। ভর্তি করার সময় শাহেদ দাবী করেন, তার বাবা সিরাজুল ইসলামের কোভিড-১৯ সংক্রমণ নেই। তবে পরে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়।

হাসপাতালে ভর্তির পর প্রথম দুইদিন শাহেদ বাবাকে দেখতে গেলেও রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে আর যাননি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান তার বাবা।

পরে আজ শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে তার বাবাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে সেখানে ছিলেন না শাহেদ। ছিলেন না শাহেদের স্ত্রী কিংবা কাছের স্বজনরাও।

শাহেদের স্ত্রী রিমি বলেন, যতটুকু করা আমার পক্ষে সম্ভব ততটুকুই করেছি। তাকে দাফন করা হয়েছে সকালে।

শাহেদ শুধু প্রতারণা করেই ক্ষান্ত হননি। রয়েছে নারী কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ।

শাহেদের সাবেক এক নারী সহকর্মী বলেন, অনেক রকমের মেয়েরা আসতো। স্যারের রুমে মেয়েদের নিয়ে মারতো। আমি তার খারাপ চরিত্র দেখার পরেই চলে আসি।

এদিকে, শাহেদের অনেক সহকর্মী এই ঘটনায় গ্রেফতার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে এই প্রতারক। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বলছেন তার সব কিছু সিল করে দেয়া হচ্ছে। আমি তাকে বলে দিয়েছি যে তিনি কোনো খারাপ কাজ করেছেন দেখেই এগুলো ধরছে। তিনি আবার আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি এখন কি করবেন। আমি বলেছি কোর্টে গিয়ে যা বলার আছে বলুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.