স্বপ্ন হচ্ছে সত্যি, মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট!

বিটিসি বিজ্ঞানপ্রযুক্তি ডেস্ক: ইন্টারনেটের ধারণা বদলে দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। এবার স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তার কোম্পানী ‘স্পেসএক্স’। এই সেবার নাম ‘স্টারলিংক’। এই সেবা দেওয়া শুরু হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জগতে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যেই স্পেসএক্সের এই সেবা পেতে প্রি অর্ডারের ধুম পড়ে গেছে। প্রায় ৫ লাখ প্রি-অর্ডার নিয়ে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এমন সেবা পৌঁছে দিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে একই জায়গায় ব্যবহারকারীদের ঘনত্ব বেশি হলে তা সেটা কিছুটা সমস্যার কারণ হতে পারে।

প্রি অর্ডারের জন্য প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৯৯ ডলার। সেবা দিতে অক্ষম হলে এই টাকা ফেরত দেবে স্পেসএক্স। তবে এখনো স্পেসএক্স ইন্টারনেটের এই সার্ভিস শুরু করেনি। চলতি বছরের আগস্ট থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এই সেবা দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন। স্পেসএক্স  ১২ হাজার স্যাটেলাইট পাঠাতে চায় যেখানে খরচ হবে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

গত রবিবার (০৯ মে) ৬০টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট অরবিটে পাঠিয়েছে কোম্পানীটি। এটি স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোর দশম ফ্লাইট ছিল। এটি ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট ব্যবহার করে দ্বারা পাঠানো করা হয়। চলতি বছরে এটি স্পেসএক্সের ১৪তম উৎক্ষেপণ। ‘ফ্যালকন ৯’ তার প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করে ২০১৯ সালে। ক্যাপ কানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে রাত্রির সমস্ত নীরবতা ভেঙে দিয়ে ধাতব শব্দ ও প্রচুর ধোয়া সৃষ্টি করে এটি যাত্রা শুরু করে।

এ পর্যন্ত স্পেসএক্স ১৬২৫টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এখন তারা বিশ্বব্যাপী একটি নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড স্টেশন তৈরি করছে। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা দুর্লভ এবং দুর্বল সেসব অঞ্চলের গ্রাহকরা প্রথমে এটির ব্যবহার করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, মূলধন কেন্দ্রিক এই ইন্টারনেটের ব্যবসায় আরেকজন শীর্ষ ধনী টাকা ঢেলেছেন। তিনি জেফ বেজোস। তিনি জনসম্মুখেই প্রতিযোগিতার কথা বলেছেন।

ইলন মাস্ক সবার থেকে আলাদা একজন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম উদ্যোক্তাদের শীর্ষে অবস্থান করা এই টাইকুন যেন পৃথিবীকে নতুন দিন না এনে হাল ছাড়ছেন না। ইলন তার ব্যক্তিগত জীবনেও আলাদা এক চরিত্র। তিনি অদ্ভূত সব টুইট করে বিতর্কিত হয়েছেন। সম্প্রতি ইলন মাস্কের কিছু টুইট বিতর্কের জন্ম দেয়। কয়েক সপ্তাহ আগে ‘চাঁদে কুকুর ডাকছে’ বলে একটি টুইট করেন তিনি।

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘যারা আমার টুইটের কারণে আঘাত পেয়েছেন তাদেরকে বলতে চাই, আমি ইলেকট্রিক কার নতুনভাবে তৈরি করেছি, আমি স্পেসশিপে করে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাচ্ছি। আপনারা কি ভেবেছিলেন যে, আমি খুব আমুদে ও সাধারণ একজন!’ (সূত্র: স্পেসডটকম, ইন্ডিয়াটুডে, স্টারলাইট)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.