স্বপ্নের ‘রিভার সিটি’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরিদর্শনে মেয়র লিটন ও মার্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী মহানগরী সংলগ্ন পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে স্বপ্নের ‘রিভার সিটি’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ও কারিগরী সমীক্ষার জন্য প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মার্স ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত টি-বাঁধ থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত স্প্রীড বোড যোগে পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শনের পূর্বে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী শহরের টি বাঁধ হতে শ্যামপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা নদীতে চর জেগে আছে। এটি চওড়া এভারেজ ৫০০ মিটার।
প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে চরটি জেগে আছে, ভেঙ্গে যায়নি। পদ্মাচর উন্নয়ন করে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার কথা হয়েছে।
প্রথমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং করতে হবে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। নৌ-রুট চালু হলে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানী-রপ্তানি করা সম্ভব। এটি চালু হলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে, উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বিশাল আয়তনের ল্যান্ড রিক্লেইম করে রিভার সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। রিভার সিটিতে বিনোদন কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, ইকোনমিক জোন গড়ে তুলতে চাই।
পরিদর্শন শেষে মার্স ইন্টারন্যাশনালের চীফ এ্যাডভাইজার এস.এম ফরমানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মায় জেগে ওঠা চরে রিভার সিটি প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সেটার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এসেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছি। রিভার সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে রাজশাহী। বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পরিদর্শনকালে ইন্টারন্যাশনালের মার্স গ্রæপের দলে ছিলেন এনভায়রমেন্টাল কনসালটেন্ট শাকিল আহমেদ, ফিনালসিয়াল এনালাইস্ট নোমান আল হাসান, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এমএম হক রাজিব প্রমুখ।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, ভারপ্রাপ্ত সচিব আলমগীর কবির, নগর পরিকল্পনাবিদ বনি আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.