স্কুলের শিশু ছাত্রদের সঙ্গে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষিকার কাণ্ড!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: প্রধান শিক্ষিকা বিরুদ্ধে স্কুলের শিশুদের দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তিনি শিক্ষিকাদেরও রেহায় দিচ্ছেন না।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং শিয়ালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহার ফেরদৌসির এমন কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ বিরাজ করলেও প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। কারণ, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি’র সাথে রয়েছে তার দহরম-মহরম সম্পর্ক।

অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ হাতিয়ে নিতেই স্কুল শিশুদের দিয়ে তিনি এই শ্রমিকের কাজ করাচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ এবং নির্দেশ আছে বলে দিন-রাত হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন এই প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সোমবার রাতে এবং গতকাল মঙ্গলবার দিনে স্কুলের সাজ সজ্জার জন্য ধোয়া ও ঘষামাজার মতো শক্ত কাজও করানো হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে। এই কাজ করার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

এ সময় প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার ফেরদৌসি বলেন, সরকার এবং ইউনিসেফ এর সহায়তায় স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামত এবং সাজসজ্জা, চিত্রাঙ্কন কাজ চলছে।

শ্রমিকের কাজ কেন স্কুল শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীরা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন-উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং অর্থ বরাদ্দকারী ইউনিসেফ এর অনুমতি রয়েছে। তাই শিশুদের দিয়ে ধৌত করানো হচ্ছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে।

একটি ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের হুমকি ধমকি এবং মৃদু আঘাত করে কাজ করতে বাধ্য করছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা বলেন- শিশুরা কাজে তো একটু অমনোযোগী হবেই। তাই তাদের কাজে মনোনিবেশ করতে একটু ই-ই করা হয়েছে।

তবে এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিটিসি নিউজ এর প্রতিনিধি’র সাথে কথা বলতে রাজি নয়। এসময় শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা ভয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষিকা ওই বিদ্যালয়ে এক যুগ ধরে চাকরি করছেন। সব কিছু তার অনুকূলে থাকায় তিনি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না।

এ প্রসঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান মুক্তা মিয়া বিটিসি নিউজকে বলেন- এলাকার কিছু ছেলেপেলে রয়েছে, যারা এই স্কুলের পোশাক পরে থাকতে ভালবাসে। তারা হয়তো ওই কাজে ছিল। শিশু শিক্ষার্থীরা কোনো কাজ করেনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন- কোন শিক্ষার্থীকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানোর নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.