স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে তুলল অস্ট্রেলিয়া

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সমীকরণটা ছিল খুবই সোজা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটে স্কটল্যান্ড, হারলে অজিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড সেই জায়গাটি পূরণ করবে- এমন অবস্থায় প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজেলউডকে বসিয়ে রেখেও সহজ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্কটিশদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা, অন্যভাবে বললে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে তুলতে বড় ভূমিকাটাই রাখল মিচেল মার্শ বাহিনী। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ৭ ম্যাচে জিতল তারা, যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
হেরে বাদ পড়ল স্কটল্যান্ড, নামিবিয়াকে হারিয়ে নিজেদের কাজ করে রাখা ইংল্যান্ড সঙ্গী হলো অস্ট্রেলিয়ার। ‘বি’ গ্রুপে সব কটি ম্যাচ শেষে অজিদের পয়েন্ট ৮। ইংল্যান্ডের ৫, ৫ পয়েন্ট স্কটল্যান্ডেরও। এ দুদলের সুপার এইট নির্ধারক হলো নেট রানরেট। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা +৩.৬১১, স্কটল্যান্ডের নেট রানরেট দুইয়েরও কম।
অনেক ‘ঝড়-ঝাপটা’র পরও ইংল্যান্ড-নামিবিয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার করে মাঠে গড়ায়। ঘণ্টা কয়েক আগের ওই ম্যাচে জিতে নিজেদের কাজটা করে রাখে জস বাটলার বাহিনী। এরপর চোখ ছিল অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচের দিকে। বাটলার তো বলেই দিয়েছিলেন, এক দিনের জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়াকে সমর্থন দিচ্ছেন। তার সমর্থন কাজে লেগেছে বটে! ১৮১ রান তাড়ায় স্কটিশদের ২ বল হাতে রেখেই হারিয়েছে অজিরা।
বাটলার কৃতিত্ব দিতে পারেন ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টোইনিসকে। ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর এ দুজনের ব্যাটেই তো জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৫৯ রান করেন স্টোইনিস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় এ নিয়ে ২০৫ রান করলেন তিনি, তাও আবার ১০২.৫০ গড় ও ১৭৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে। ওপেনিংয়ে নেমে হেড করেন ৬৮।
ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে ১৮০ রান প্রায়ই হয়। অজিদের জন্যও লক্ষ্যটা বড় হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রথমদিকে তারা যেভাবে ব্যাট করছিল, তাতে জস হ্যাজেউলউডের ‘ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে চাই’ বক্তব্যের প্রমাণই মিলছিল। ৯- এর বেশি আস্কিং রেটের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তারা করে মাত্র ৩৬ রান। ডেভিড ওয়ার্নার ১, মিচেল মার্শ ৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১১ রান করেন।
দৃশ্যপট বদলে যায় ১৪তম ওভার থেকে। হেড ও স্টোইনিসের ব্যাটে লক্ষ্যের দিকে দৌড়াতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। একপ্রান্তে হেড ধরে খেললেও স্টোইনিস ছিলেন মারমুখী। ৪৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মারের পর সাফিয়ান শরিফের বলে আউট হন হেড। ২৯ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি চার হাঁকিয়ে ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন স্টোইনিস, তাকে শিকারে পরিণত করেন মার্ক ওয়াট। বাকি কাজটা শেষ করেন টিম ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড। ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড ৪ রানে।
এর আগে ব্রান্ডন ম্যাকমুলেনের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তুলে ইংল্যান্ডের মনে ভয় ধরিয়েছিল স্কটল্যান্ড। ৩৪ বলে ২ চার ও ৬ ছয়ে ৬০ রান করেন ম্যাকমুলেন। বাকিদের মধ্যে রিচার্ড বেরিংটন ৪২, জর্জ মুনসি ৩৫ ও ম্যাথু ক্রস ১৮ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২ উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল। ১টি করে উইকেট পান অ্যাস্টন আগার, নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.