সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত উদ্বেগ জনক অবস্থায় 

কলকাতা প্রতিনিধি: মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিন্টো পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার, সন্ধের পর থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। রক্তচাপ ওঠানামা শুরু হয়, কমে যায় অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে রাতের দিকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয় বাঙালির প্রিয় ‘অপু’কে। এই খবরে মন খারাপ হয়ে যায় আপামর বাঙালির। তারপর থেকে অবশ্য আরও দু’দিন কেটে গেলেও অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।
রবিবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থার হেরফের হয়নি। তবে কিছুটা মানসিক অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। গতকাল গভীর রাতে অবশ্য জানা যায়, তাঁর মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে মূত্রনালিতে। কিডনি ও হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
একইসঙ্গে প্লাজমা থেরাপি চলছে সৌমিত্রর । উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সৌমিত্রকে দু’ইউনিট প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। রবিবার দেওয়া হয়েছে আরও এক ইউনিট। কিন্তু রাতের দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তৎপরতা বেড়েছে হাসপাতালেও। ITU-তে ২৪ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ১৬ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম।
আগে থেকেই ব্লাড প্রেসার, সুগার, সিওপিডি-র মতো গুচ্ছ রোগ রয়েছে সৌমিত্রর । গত বছর গুরুতর নিউমোনিয়ার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে বয়সটাও এখন ৮৫-র কোঠায়। সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করেই সর্বতভাবে লড়াই চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা ।
আনলক শুরু হতেই একাধিক অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পুরোদমে শ্যুটিং শুরু করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষবার শ্যুটিংয়ে বেরিয়েছিলেন সৌমিত্র। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওয় একটি ডকু ফিচারের শ্যুটিং ছিল তাঁর। সে দিন থেকেই তাঁর শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। করোনার লক্ষ্ণণ প্রকাশ পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করানো হয় । তখনই রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.