সৌদিতে নারী রাজবন্দিদের ওপর নির্যাতনের নতুন প্রমাণ মিলল

(সৌদিতে নারী রাজবন্দিদের ওপর নির্যাতনের নতুন প্রমাণ মিলল–লুজাইন আল হাথলুল–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবে নারী রাজনৈতিক বন্দিদের ইলেক্ট্রিক শক, মারধর এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। সৌদি আরবের জেলে বন্দিদের নির্যাতনের নতুন তথ্য হাতে পাওয়ার পর এমন দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।  সম্প্রতি প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ বিষয় উঠে আসে। 
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সৌদি আরবের জাহবান জেলের একজন নিরাপত্তারক্ষী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে সম্প্রতি নতুন তথ্য দিয়েছেন। নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল হাথলুলের মতো নারী রাজনৈতিক বন্দিদের ইলেক্ট্রিক শক, মারধর এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।
ওই নিরাপত্তারক্ষী বলেন, এক নারী অধিকারকর্মীকে (নাম প্রকাশ করা হয়নি) জিজ্ঞাসাবাদের এক সেশনেই এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল যে, ধারণা করা হচ্ছিল তিনি বোধহয় মারা গেছেন।
‘নির্যাতনের পর ওই নারী অধিকারকর্মী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি’, যোগ করেন ওই ব্যক্তি।
ওই নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছিলাম, তিনি হয়তো মারা গেছেন। তিনি যদি সত্যি মারা যান তবে সে দায়ভার আমাদের নিতে হবে। কেননা, আমাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে কোনো নারী বা পুরুষ বন্দিকে যেন মেরে ফেলা না হয়।’
তিনি বলেন, হাথলুলকে ‘নজিরবিহীন’ যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে জেলে নানাভাবে শ্লীলতাহানি এবং উপহাস করা হয়েছে তার কৃতকর্মের জন্য।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিডল ইস্ট অ্যান্ড নর্থ আমেরিকা অঞ্চলের উপপরিচালক মাইকেল পেজ এক বিবৃতিতে বলেন, সৌদি আরবের নারী অধিকারকর্মী এবং অন্যান্য হাই-প্রোফাইল বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগের নতুন প্রমাণ আইনের শাসনের ওপর দেশটির চূড়ান্ত অবজ্ঞার প্রকাশ। একই সঙ্গে তারা এ ধরনের অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘যারা এমন নির্যাতন করে তাদের কোনো সাজা বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার মাধ্যমে তাদের কাছে এক ধরনের বার্তা পৌঁছে যায়। আর সে বার্তাটি হলো-তারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই বন্দিদের নির্যাতন করতে পারবে, এ ধরনের অপরাধের জন্য তাদের কখনো কোনো জবাব দিতে হবে না’, যোগ করেন পেজ।
২০১৭ সালের পর থেকে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শুরু করা বিস্তৃত দমনপীড়নের কারণে দেশটিতে রাজবন্দিরা অকথ্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।  এসবের কারণে বিশ্বজুড়ে নিন্দা কুড়াচ্ছে রক্ষণশীল মোড়ক উপড়ে ফেলার চেষ্টায় থাকা দেশটি। (খবর মিডল ইস্ট আইয়ের)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.