সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাঁদাবাজদের দাপটে লেবার শ্রমীকদের আর্তনাদ’ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ!

বিশেষ প্রতিনিধি: সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে লেবার ও শ্রমিকদের আর্তনাদ ও অসহায় অবস্থা যেন দেখার কেউ নেই। গুটি কয়েক চাঁদাবাজদের দাপটে লেবাররা আজ অসহায়।

এখানে যথারীতি তিন স্তরের চাঁদা আদায় করেন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দল যা যথাক্রমে তুলে ধরা হলো:

(১) প্রথম ইন্ডিয়ান ট্রাক পানামায় প্রবেশ করলেই আনলোডের বকশিশ বাবদ প্রতি ট্রাকে এভারেজ এ ৫৫০-৭১০ টাকা উত্তোলন করেন বিনিময় লেবার কে দেওয়া হয় (১০০) টাকা। বাকি ৫১০ টাকা চাঁদাবাজদের পকেটে প্রতিদিন এভারেজ (৩০০ ট্রাক ×৫১০=১,৫৩০০০ টাকা প্রতিদিন (১৫৩০০০×৩০ মাসে )=৪৫,৯০,০০০ টাকা ইন্ডিয়ান রুপি চাঁদাবাজদের পকেটে।

(২) বাংলাদেশী ট্রাক লোডিং করা ট্রাকের ওপরে তিরপাল দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে দেওয়া বাবদ বকশিশ দেন ট্রাকের ড্রাইভার লেবার ভাইদেরকে প্রতি গাড়িতে (৩৫০) টাকা সেখান থেকে চাঁদা দিতে হয় প্রতি ট্রাকে ২০০/- টাকা প্রতিদিন এভারেজ বাংলাদেশী ট্রাক (৪০০×২০০)= ৮০,০০০/- হাজার টাকা মাসে (৮০,০০০×৩০)= ২৪,০০০০০/- লক্ষ টাকা।

(৩) প্রতি মেট্রিক টন পণ্য আমদানিকারকদের কাছ থেকে বিল করেন ৩০ টাকা অথচ লেবার ভাইদেরকে দেন মাত্র ০৭ টাকা প্রতি মেট্রিক টন অর্থাৎ এখানেও প্রতি মেট্রিক টনে চাঁদাবাজদের পকেট ২৩ টাকা প্রতিদিন এভারেজে লোড-আনলোড (৪৮০০ মেট্রিক টন ×২৩)= ১১০৪০০/- টাকা প্রতিমাসে (১১০৪০০×৩০)=৩৩,১২,০০০/- লক্ষ টাকা।

তাহলে ইন্ডিয়ান ট্রাকের বকশিশ বাবদ প্রতি মাসে = ৪৫,৯০,০০০/- টাকা। বাংলা ট্রাকের বকশিশ প্রতিমাসে = ২৪০০০০০/- টাকা। লোড-আনলোড বাবদ প্রতিমাসে = ৩৩,১২০০০/- টাকা। তাহলে প্রতি মাসে চাঁদাবাজদের পকেটে = ১০,০৩,২০০০/- কথায় এক কোটি ০৩ লক্ষ দুই হাজার টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একমাত্র আস্থা জায়গা ও প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন,আমরা অসহায় আমাদের বাচাঁন।

ইতিপূর্বে, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া  ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০), রাজ্জাক আলীর ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২৭) এবং শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২৫)।

গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরো ৫০ হাজার টাকাসহ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের কয়েকটি রশিদ ও নোটবুক উদ্ধার করা হয়।

গত বুধবার (১৭ জুন) বিকেলে পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রাকিব। এসময় পুলিশ সুপার জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে শ্রমিক সমন্বয় কমিটির নামে বেশ কয়েকটি গ্রুপ চাঁদবাজি করে আসছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বন্দরে প্রতিমাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা হয় এবং সেই টাকা বিভিন্ন জনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। তিনি বন্দরে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে বলেও জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.