সোনাইমুড়ীতে ডেবটেক সেন্টারে শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব কাগজে কলমে বাস্তবে শুন্য

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আউট অব স্কুল চিলড্রেনস এডুকেশন প্রোগ্রাম চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি(পিইডিপি-৪) প্রকল্পে কাগজে কলমে সেন্টার দেখালেও বাস্তবে নেই কোনো অস্তিত্ব।
শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় নাম পিতার নাম থাকলেও তা বাস্তবতার সাথে মিল নেই। আবার এখানে শিক্ষক নিয়োগে রয়েছে উৎকোচ বাণিজ্য। শিক্ষকদের দীর্ঘদিন বেতন না দিয়ে ঘুরাঘুরি আবার ২-১মাস বেতন দিলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে কর্তন করা হয়েছে বেতনের টাকা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,২০২২ইং সালের শুরু থেকে ডেভেলপমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এণ্ড এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন সেন্টার(ডেপটেক-) এনজিও সংস্থার সাথে সরকার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করার কথা রয়েছে ২০২৩সালের জুন মাসে।
সোনাইমুড়ী উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৭০টি সেন্টারে ৭০জন শিক্ষক নিয়োগ দিলেও কোনো কোনো ইউনিয়নে সেন্টারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনো কোনো স্থানে রান্নাঘরে,বাড়ির বারান্দায়,গাছের নিছে,গোয়াল ঘরে,ঝুপড়ী ঘরে সেন্টার বানানো হয়েছে। নিয়মঅনুযায়ী,২৪০ বর্গফুটের ঘরে প্রতিটি সেন্টারে ৮ থেকে ১৩বছরের ৩০জন করে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী থাকার কথা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বইসহ মোট ৩২প্রকার শিক্ষার উপকরণ দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তা দেয়া হচ্ছে না। ৭০টি সেন্টারে ২১০০জন শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও সরজমিনে গিয়ে তা পাওয়া যায়নি।
সোনাইমুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী,সোনাইমুড়ীতে ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০২২সালে মোট ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০জন। অথচ ডেবটেকের তথ্যানুযায়ী এ উপজেলায় তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১০০জন।
সোনাইমুড়ী ডেবটেক এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুজিবুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি গড়িমসি শুরু করে।
একপর্যায়ে তিনি বলেন,তাদের প্রধান ড.ফেরদৌসী বেগমের উপরে হাত আছে। তার ভিত্তি শক্ত। আগামী ১৪তারিখ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্পের মহাপরিচালক পরিদর্শনে আসবেন। আমরা এ নিয়ে ব্যস্ত। আপনারা পরে যোগাযোগ করেন।
সোনাইমুড়ী ডেবটেক এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড.ফেরদৌসী বেগমের বক্তব্য নিতে প্রতিবেদক কল দিলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি মোরশেদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.