সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: আশ্রয়ণ প্রকল্প বদলে দিয়েছে ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রা। জীবনের গতিপথ বদলাতে সংগ্রাম করে চলেছে নিরন্তন। যেখানে হতদরিদ্র মানুষগুলোর কিছুদিন আগেও “নুন আনতে পান্তা ফুরাতো”।
এখন তারা অনেকটাই গোছানো জীবনের বাস্তব হাতছানিতে আশার উজ্জ্বল আলোতে এসেছে। বলছিলাম নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলার কেঘনা অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী মানুষের কথা।
ছয় মাস আগেও নিজের কোন আশ্রয় ছিল না মো.নিজাম উদ্দিনের। কয়েকমাস আগেও যিনি পরিবার নিয়ে ছিলেন চরম দুশ্চিন্তায়। ভুমিহীন হতদরিদ্র নিজাম উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে সামনের বারান্দার দু’পাশে তৈরি করেছে ছোট্ট ২টি দোকান। একপাশে নিজের তৈরি জুতা। অন্যপাশে তৈরি করেছে দোকান। নিজাম উদ্দীনের ছোট্ট পরিবারের এই আয় দিয়ে বেশ ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই আছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকেও জানান ধন্যবাদ।
মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে জীবন বদলে যাচ্ছে পারভীন-সোহাগ দম্পত্তির। সংসারে সচ্ছলতা আনতে বারান্দায় হাঁসমুরগি পালন করে স্বাচ্ছন্দে জীবন চলছে তাদের। চোখে মুখে একগাদা স্বপ্ন। পারভীন জানান,“আগের চেয়ে অনেক ভালোই আছি। হাঁস-মুরগি পালন করে উন্নতি হইছে আমাদের পরিবারের। অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছি আমরা”।
তার মতো হাঁস-মুরগির পাশাপাশি কবুতর পালন করে বিক্রির করে সাথে নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছেন বলে জানান রুনু বেগম। প্রায় প্রতিটি ঘরের আঙ্গিনায় টমেটো,সীম,করলা,কোমড়া চাষ করে ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম তারা। তবে সরকারিভাবে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ না দেওয়ায় নিজেদের স্পৃহা বিস্তার করতে পারছে না বলে জানান অনেকে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,“উপকারভোগীদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ছোট প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিনা সুদে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এ কাজকে সর্বদা সাদুবাদ জানাই।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.