সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেতাদের

(সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেতাদের–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের পর লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। গতকাল শনিবার (১৩ মার্চ) দেশটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত, তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।’
এনএলডির যে এমপিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরী করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ)। এই গ্রুপটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। তারা নিজেদেরকে বৈধ সরকার বলে দাবী করছেন। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও দাবি করছে সিআরপিএইচ।
তবে সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।
একটি ফেসবুক বার্তায় মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, বলছেন তিনি।
পয়লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সুচিকেও গ্রেপ্তার করেছে সামরিক জান্তা। গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছিল এনএলডি, তবে সামরিক বাহিনীর দাবী, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবী করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।
গত সপ্তাহেই অং সান সুচির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৬ লক্ষ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সামরিক বাহিনী। যদিও এর সপক্ষে এখনো কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা।
গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে সুচিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে সামরিক বাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- ভয়ভীতি তৈরি করা, অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম রাখা এবং কোভিড-১৯ নিয়মনীতি ভঙ্গ করা।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা বেছে নিয়েছে সামরিক বাহিনী। যার ফলে অনেক মানুষ এর মধ্যেই নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিন্দা জানিয়েছে। (সূত্র: বিবিসি বাংলা) #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.