সেঞ্চুরি হলো না লিটনের, আরও বিপদে বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দারুণ খেলছিলেন। আত্মবিশ্বাসী লিটন দাস টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে পারবেন, মনে হচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু হলো না। ব্যক্তিগত ৮৬ রানে আত্মঘাতী এক শট খেলে বসলেন লিটন।
মোহাম্মদ নাবিকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বল ভাসিয়ে দিলেন বাতাসে। লংঅন থেকে দৌড়ে এসে গুলবাদিন নাইব নিলেন ক্যাচ। ১১৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গড়া লিটনের ৮৬ রানের ঝকঝকে ইনিংসটা থামলো তাতেই। আরও বিপদে পড়লো বাংলাদেশ।
১ উইকেটে ১০৪, ২ উইকেটে ১২১ রান। বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল বাংলাদেশ। আবারও এগিয়ে যাচ্ছিল বড় সংগ্রহের দিকে। কিন্তু হঠাৎ রশিদ খান জোড়া ধাক্কা দিলেন।
৪ রান তুলতে দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আর ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরে গেলেন সাজঘরে। লিটন ছিলেন একটা প্রান্তে ভরসা হয়ে। কিন্তু তিনিও উচ্চাভিলাষী শট খেলেই বসলেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৯ রান। মাহমুদউল্লাহ ১২ আর আফিফ হোসেন ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
চট্টগ্রামে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেশ দেখেশুনে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান তোলেন তামিম আর লিটন দাস।
উইকেটে কিছুটা সেট হয়ে রানের গতি বাড়ান দুই ওপেনার। বিশেষ করে আরেক ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন হাত খুলে খেলতে থাকেন। তামিম দিচ্ছিলেন সঙ্গ। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তোলে বাংলাদেশ।
ফজল হক ফারুকির প্রথম ৫ ওভারে কোনো বিপদই হয়নি। তবে ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই তামিমকে বোল্ড করেন আফগান পেসার। সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো আফগান পেসারকে উইকেট বিলিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আগের দুই ওয়ানডেতে ফারুকির বলের গতি বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন তামিম। এবার আর বল প্যাডে লাগেনি। বরং ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে ঢুকে যায় স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করে।
উইকেটে এসেই পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব আল হাসান। এরপর আরেকটি বিপদ হতে পারতো। ফারুকির ওভারের তৃতীয় বল সাকিবের প্যাডে লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন সাকিব। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল আউটসাইড লেগে পিচ করেছে। বেঁচে যান সাকিব।
এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫০তম ওয়ানডে খেলতে নামা লিটন। বাংলাদেশও পার করে ১০০। এরপরই সাকিবের উইকেট হারায় টাইগাররা।
লিটন আর সাকিব আল হাসানের ৬১ রানের জুটিটি ২২তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ভেঙে দেন। আফগান পেসারের বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে সফল ডিসমিসাল হন সাকিব (৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩০), বল ব্যাটে স্পর্শ করে পড়ে যায় বেল।
এরপর রশিদ খানের ঘূর্ণি জাদু। আফগান লেগির দুর্দান্ত এক ডেলিভারি মুশফিকের (৭) ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। পরের ওভারে এসে আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে ইয়াসিরকে (১) স্লিপে ক্যাচ বানান রশিদ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল(অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেট রক্ষক), রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, আহমতউল্লাহ ওমরযাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, গুলবাদিন নাইব ও ফজল ফারুকি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.