সেই প্রমোদতরীর চারজনের মৃত্যু হয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে : প্রতিবেদন

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালির দ্বীপ সিসিলির উপকূলে বিলাসবহুল প্রমোদতরী বায়েসিয়ান ডুবে যায় গত মাসের শেষের দিকে। এতে প্রমোদতরীর মোট সাতজন মারা যান। সাতজনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা এ তথ্য জানিয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জানিয়েছে এই চারজনের কারোরই ফুসফুসে পানি ছিল না। এর মানে হলো তারা ডুবে মারা যান নি।
তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করেন,যে কেবিন থেকে ওই চার ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তা কার্বন ডাই–অক্সাইডে ভরা ছিল। কারণ কক্ষটিতে অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছিল। এ কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
এই চার ব্যক্তি হলেন, ব্যাংকিং এক্সিকিউটিভ জোনাথন ব্লুমার, তার স্ত্রী জুডি ব্লুমার, আইনজীবী ক্রিস মরভিলো এবং তার স্ত্রী নেদা মরভিলো। প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে পড়ে প্রমোদতরিটি ডুবে গেলে মোট সাতজন মারা যান।
এ ঘটনায় ব্রিটিশ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাইক লিঞ্চ, তার ১৮বছর বয়সী মেয়ে হান্না লিঞ্চ এবং প্রমোদতরীর শেফ রেকাল্ডো থমাসও মারা গিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যের ধনকুবের মাইক লিঞ্চ যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ থেকে খালাস পান। এটি উদ্‌যাপন করার জন্য ওই সমুদ্রবিহারের আয়োজন করা হয়েছিল। মাইক লিঞ্চের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা বেকারেস ও মেয়ে হান্না লিঞ্চসহ অন্য অতিথিরা এই সফরে ছিলেন।
ইতালীর গণমাধ্যমের মতে, ডুবুরিরা কেবিনের বাম দিকে এই চারজনের মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন। তার মানে ডুবে যাওয়ার সময় প্রমোদতরীটি ডানদিকে কাত হয়েছিল। সে সময় তারা বা দিকে থাকা অবশিষ্ট বায়ু পকেটের দিকে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। তাদের কারও শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
মাইক লিঞ্চ, তার মেয়ে হান্না এবং রেকাল্ডো থমাসের ময়নাতদন্ত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মাইক লিঞ্চের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা বেকারেস প্রমোদতরীতে থাকা আরও ১৪ জনের সঙ্গে বেঁচে যান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.